বাড়ির বাতাসের গুণমান উন্নতির কথা বললে প্রথমেই যেটা মনে আসে সেটা হল গাছপালা লাগানো। এটা ঠিক যে অনেক ইন্ডোর প্ল্যান্ট বায়ু পরিশোধক হিসেবে কাজ করে এবং বাড়ির বাতাসকে বিশুদ্ধ করে তোলে। তবে গাছ লাগানো ছাড়াও কিছু পদ্ধতি আছে যার সাহায্যে বাড়ির বাতাসকে স্বাস্থ্যকর করে তোলা যায়। এখানে তেমনই কয়েকটি প্রাকৃতিক পদ্ধতির কথা আলোচনা করা হল।
advertisement
হাওয়া-বাতাস খেলুক: হ্যাঁ, দরজা, জানলা খোলা থাক। হাওয়াবাতাস খেলুক। বাইরের বাতাস যাতে ঘরে ঢুকতে পারে এবং ঘরের বাতাস যাতে বাইরে বেরতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বদ্ধ হাওয়ায় ড্যাম্প হতে পারে। শরীরের জন্যও মোটেই ভাল নয়।
জুতো বাইরে: অনেকেই জুতো পরে গটমট করে ঘরে ঢুকে পড়েন। এটা মোটেই উচিত নয়। এমনকী ঘরের ভিতর জুতো রাখাও ঠিক নয়। জুতো রাখার তাক থাকুক বাইরে, দালানে কিংবা বারান্দায়। এতে অন্তত ৫০ শতাংশ সংক্রমণ কমবে।
আরও পড়ুন : তিনটি বড় কারণেই বিবাহিত নারী বা পুরুষ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন
ধুলো যেন কম থাকে: ঘরের ধুলোবালি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। এভাবে ঘরের বাতাসের মান উন্নত করা যায়। আসলে ধুলোর মাধ্যমে টক্সিন শরীরে প্রবেশ করে। তাই ভ্যাকুয়াম ক্লিনার কিংবা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঘরের ধুলোবালি প্রতিদিন পরিষ্কার করা উচিত। এয়ার পিউরিফায়ারও কেনা যেতে পারে।
সুগন্ধী নয়, প্রাকৃতিক সুগন্ধী: সুগন্ধী মোমবাতি নিরীহ মনে হলেও এতে থাকা প্যারাফিন এবং পেট্রোলিয়াম উপজাতগুলো ঘরের বাতাসকে দূষিত করে। একই ভাবে, এয়ার ফ্রেশনার, টয়লেট স্প্রে এবং রিড ডিফিউজারেও ক্ষতিকারক সিন্থেটিক সুগন্ধী থাকে, বাতাস দূষিত হয়। এগুলোর বদলে এসেনসিয়াল অয়েল দিয়ে তৈরি মোমবাতি কিংবা সয়া মোমবাতি বেছে নেওয়া যায়। এটা ঘরকে প্রাকৃতিক সুগন্ধে ভরিয়ে তুলবে। বাতাসও পরিষ্কার থাকবে।
আরও পড়ুন : আজীবন থাকবেন ফিট! শুধু জানতে হবে খাবার খাওয়ার 'এই' সঠিক ট্রিক্স! জীবন হবে সুপারহিট
প্রাকৃতিক পণ্য ব্যবহার: ঘর পরিষ্কার করতে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এতে থাকা কার্সিনোজেন, অ্যালার্জেন ইত্যাদি রাসায়নিক উপাদানের কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সম্ভবত এই কারণেই আজকাল বেশিরভাগ মানুষই কোনও না কোনও রোগের সঙ্গে লড়ছেন। তাই রান্নাঘরে থাকা বেকিং সোডা, ভিনিগার ইত্যাদি দিয়ে তৈরি ক্লিনার ব্যবহার করাই ভাল। এগুলো শুধু নিরাপদ এবং সস্তাই নয়, বাড়ির বাতাসের মানেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।