প্যাকইউং জেলার ইয়াকতেন গ্রামকে ভারতের প্রথম ডিজিটাল নোমাদ গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় বিধায়ক পামিন লেপচার হাত ধরে ফিতে কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় এই ডিজিটাল গ্রামের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যাকইউং জেলার জেলাশাসক রমেশ আগারওয়াল ও অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
advertisement
ইয়াকতেন এক সময়ে ছিল সিকিমের এক অখ্যাত পাহাড়ি গ্রাম। মূলত কয়েকটি হোমস্টে আর পর্যটনের ওপরই নির্ভর করত এখানকার মানুষের রুজি-রুটি। কিন্তু পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভাল ইন্টারনেট কানেকশন না থাকায় পর্যটকরা দীর্ঘদিনের ছুটি কাটাতে গিয়েও অনলাইনে কাজ করতে পারতেন না। সেই সমস্যারই স্থায়ী সমাধান হল এই ঘোষণায়।
এখন থেকে ইয়াকতেনে হাইস্পিড ইন্টারনেট ও ওয়াইফাই পরিষেবা পাওয়া যাবে প্রতিটি হোমস্টেতে। ফলে শহরের অফিসের কাজ সেরেই পর্যটকরা উপভোগ করতে পারবেন হিমালয়ের অপরূপ সৌন্দর্য, পাইন বন আর শান্ত গ্রামীণ পরিবেশ। প্যাকইউং জেলার জেলাশাসক রমেশ আগারওয়াল নিজেই জানিয়েছেন, এখন থেকে যে কেউ চাইলে তিন-চার দিনের ছুটি হোক বা মাসখানেকের ওয়ার্ক-ফ্রম-পাহাড়, সবই সম্ভব। আর গ্রামের মানুষরাও উপকৃত হবেন, কারণ ইয়াকতেনের প্রায় প্রতিটি পরিবারই হোমস্টে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। পর্যটকের ভিড় মানেই নতুন আয়, নতুন স্বপ্ন।
ডেপুটি ডিরেক্টর সুষমা প্রধান জানিয়েছেন, ঘোষণা হতেই পর্যটকদের আগ্রহ দ্বিগুণ হয়েছে। অনেকে ফোন করে রোজই জিজ্ঞেস করছেন, ‘কোথায় থাকব? কিভাবে যাব?’ অনেকে আগাম বুকিংও করছেন। ইয়াকতেন পৌঁছানোও সহজ, শিলিগুড়ি থেকে গাড়িতে প্যাকইউং বাজার, সেখান থেকে স্থানীয় গাড়িতে পৌঁছানো যাবে ইয়াকতেন গ্রামে। হিমালয় ঘেরা এই ডিজিটাল গ্রামে ল্যাপটপ খুলেই মিটিং সেরে নিতে পারবেন, আবার চা হাতে মেঘের খেলা দেখতে দেখতে কাটিয়ে দিতে পারবেন দুপুরবেলা। ইয়াকতেন যেন এখন ডিজিটাল নোমাদদের নতুন স্বপ্নের ঠিকানা।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য





