আরও পড়ুন- ঘুমের আগে এক গ্লাস কুসুম গরম জল! শরীরের অর্ধেক সমস্যা কমবে এতেই
মশলা
হলুদ, দারুচিনি, কালো মরিচ, জিরে, মৌরি, মেথি, আদা, রসুন ইত্যাদি সব ঘরেই পাওয়া যায়। বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করুন বা ডালে দিন বা স্যুপ বানান। ভেষজ চা হিসাবেও পান করতে পারেন এই মশলাগুলি।
* হলুদ - কারকিউমিন সমৃদ্ধ হলুদ হল অনাক্রম্যতাবর্ধক (Immunity Booster) সেরা উপাদান। গরম দুধে বা লেবু এবং জলের সঙ্গেও মিশিয়ে খেতে পারেন।
advertisement
* আদা - আয়ুর্বেদে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী হিসাবে আদার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা খেতে পারেন বা রান্নায় এবং চায়ে যোগ করেও খেতে পারেন।
* রসুন - রসুনের এক কোয়া জলের সঙ্গে খালি পেটে সকালবেলা খাওয়া উচিত।
* দারুচিনি - এতে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গালগুণ রয়েছে। দারুচিনিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা (Immunity Booster) করে।
* গোল মরিচ - গোল মরিচে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে। দইয়ে মিশিয়ে স্যালাডের উপর ছিটিয়ে বা চায়ে মিশিয়ে খেতে পারেন।
* জিরে - জিরেতে ফ্ল্যাভোনয়েড নামক যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে এবং ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং রক্তচাপ প্রতিরোধে উপকার করে। জিরে ওজন কমাতেও উপকারী।
* তুলসী - তুলসী প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে শ্বাসযন্ত্রের রোগ, জ্বর এবং এই জাতীয় সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। কাশি, সর্দি এবং হালকা জ্বর থেকে উপশম পেতে তুলসী পাতার রস খেতে পারেন এবং মধুর সঙ্গেও মিশিয়ে নিতে পারেন।
* কারি পাতা - কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এবং ক্যালসিয়াম, আয়রনেরও সমৃদ্ধ উত্স।
* পুদিনা পাতা - পুদিনা পাতা ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর। চাটনি, সস, বা ডিটক্স জলে মিশিয়ে খান।
আরও পড়ুন- বিনামূল্যে পাচ্ছেন জাদু কি ঝাপ্পি! বিদেশে জড়িয়ে ধরতেও লাগে বিপুল টাকা
সাইট্রাস ফল
সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। কমলা, পাতিলেবু, পেয়ারা, আমলাতে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ সর্বাধিক।
মরসুমি সবজি
মরসুমি শাকসবজি হল ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের বড় উৎস, বিশেষ করে পালং শাক, মেথি পাতা, সরষে পাতা ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিটা ক্যারোটিন রয়েছে, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
দুগ্ধজাতীয় পদার্থ
দুধ, দই, ঘি, পনিরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ডি, প্রোটিন, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
বাদাম এবং বীজ
বাদাম এবং বীজ ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি এবং খনিজ সমৃদ্ধ ।