জেলার কোচবিহার ১ ও ২ নম্বর ব্লক, তুফানগঞ্জ ১ ও ২ নম্বর ব্লক , মাথাভাঙার কিছু অংশ ও দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকে হাজার হাজার মানুষ এই শীতলপাটির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। গোটা জেলায় ত্রিশ হাজারেরও বেশি শিল্পী এই পাটি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। কোচবিহারের ধলুয়াবাড়ি এলাকা হল এই পাটি শিল্পীদের পীঠস্থান। কোচবিহারের ধলুয়াবাড়ি এলাকার শীতলপাটি শিল্পী জবা দে জানান, “এই শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হল বেতগাছ। কোচবিহারের পরিবেশেই এই বেতগাছ ভাল তৈরি হয়। তাই এই গাছের ওপর থেকে যে ছাল বের হয় তা দিয়েই তৈরি হয় পাটি।”
advertisement
আরেক পাটি শিল্পী নমিতা দে জানান, “প্রথমে জমি থেকে বেত কাটা হয়। তারপর তা হালকা শুকিয়ে নিতে হয়। এরপর বঁটি দাঁ দিয়ে চিরে নিতে হয়। চিরে নেওয়া বেত আবার সেদ্ধ করা হয়। এভাবে তৈরি হয় গরমের সময় বিছানায় বা মেঝেতে ব্যবহার করার শীতলপাটি। গরমের মরসুমে এই পাটির চাহিদা থাকে একেবারে বেশি।\”প্রবীণ পাটি শিল্পী মনীন্দ্র চন্দ্র দে জানান, \”সময় অনেকটা পেরিয়ে গেলেও শীতলপাটির চাহিদা কমেনি বিন্দুমাত্র। ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা পর্যন্ত শীতলপাটি বিক্রি করেন তাঁরা খুচরো দামে।\”
গরমের মরসুমে প্রাকৃতিক উপায়ে মুহূর্তে স্বস্তি পেতে শীতলপাটি একটি দারুণ উপায়। এসি কিংবা কুলারের মতন করে ঘরের হওয়া এটি ঠান্ডা করেনা ঠিকই। তবে এই পাটির ওপর শুয়ে থাকলে ঠান্ডা অনুভূত হয় অনেকটা। এতে তীব্র গরমে অনেকটাই স্বস্তি পাওয়া সম্ভব মুহূর্তের মধ্যে।
Sarthak Pandit