বেকিং সোডা: বেকিং সোডার ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট রয়েছে। ফলে শরীর থেকে গন্ধ শুষে নিতে পারে। অল্প জলের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে ঘাড়, গলা, বগলে লাগালে উপকার মিলবে।
টেকসুমি ডিটক্স: টেকসুমি হল কার্বনাইজড বাঁশের কাঠকয়লা। আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। এই ডিটক্স চিকিৎসা বর্তমানে বিপুল জনপ্রিয়। তৎক্ষণাৎ ফলাফল আশা না করাই ভালো। ডিটক্স কার্যকর হতে এক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কারণ কাঠকয়লার সঙ্গে বিক্রিয়া করার সময় শরীর একটি চক্রের মধ্য দিয়ে যায়।
advertisement
বেন্টোনাইট কাদামাটি: শরীরের অবাঞ্ছিত টক্সিনগুলোকে বের করে আনে বেন্টোনাইট কাদামাটি। এক টেবিল চামচ কাদামাটি এবং এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করতে হবে। তারপর সেটা লাগাতে হবে বগলে। শুকিয়ে গেলে গরম জলে ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে প্রতিদিন নয়, সপ্তাহে একবার লাগালেই যথেষ্ট।
শালগম: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ শালগম শরীরের জন্য তো বটেই দুর্গন্ধ দূর করতেও দারুণ কার্যকর। শালগমের রস বের করে যে জায়গাগুলোতে বেশি ঘাম হয় সেখানে লাগাতে হবে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে ঠান্ডা জলে।
আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডলের এক সিদ্ধান্তেই ফের আলোড়ন, এবার কি আরও চাপ বাড়াবে সিবিআই?
আলু: অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং বিশেষ করে এটির সামান্য অম্লীয় প্রকৃতির কারণে, পিএইচ কমাতে পারে এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে পারে। যেখানে ঘাম বেশি হয় সেখানে আলুর একটা স্লাইস নিয়ে ঘষতে হবে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে ঠান্ডা জলে। দিনে ২ বার করলেই ভালো ফল মিলবে।
টম্যাটো জুস: দু’টেবিল চামচ টম্যাটোর রসের সঙ্গে দু’টেবিল চামচ পাতি লেবুর রসের একটা মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তারপর সেটা লাগাতে হবে বগলে। দশ মিনিট মতো রাখার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: প্রথমে এক কাপ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার আধ কাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর একটা স্প্রে বোতলে ভরে সেটা ব্যবহার করতে হবে ডিওডোর্যান্টের মতো। প্রতিদিন রাতে ঘুমোনোর আগে বগলে এটা স্প্রে করে দিতে হবে। পরদিন সকালে ধুয়ে নিতে হবে গরম জলে।
আরও পড়ুন: রাতেই এল ইমেইল, সিবিআই-কে যা জানিয়ে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক...
রক সল্ট: ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে রক সল্ট। স্নানের আগে হালকা গরম জলে কিছুটা রক সল্ট দিতে হবে। পুরোপুরি গুলে গেলে জলটা মিশিয়ে নিতে হবে ভালোভাবে। তারপর চান করতে হবে সেই জলে। রক সল্টে ক্লিনসিং বৈশিষ্ট রয়েছে। তাছাড়া অতিরিক্ত ঘাম শুষে নিতেও এর জুড়ি নেই।
তেল লেবুর মিশ্রণ: নারকেল তেল, লেবুর রস অথবা সাইট্রিক অ্যাসিড পাউডার আর জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। স্নান সেরে বেরোনোর আগে শরীরের যে সব অঙ্গে ঘাম বেশি হয় লাগাতে হবে সেখানে। এর পর আর গায়ে জল ঢালার দরকার নেই। তোয়ালে দিয়ে শুকনো করে মুছে নারকেল তেল মেখে নিতে হবে।
পোশাক: কিছু পোশাকের কারণে হতে পারে দুর্গন্ধ। যেমন সিন্থেটিক। প্রাকৃতিক ফাইবারে কিন্তু সেই সমস্যা বাড়ে না। লিনেন, সুতির পোশাক পরতে হবে। চাইলে গেঞ্জি কাপড়ের পোশাকও পরা যায়।