রান্নার প্রথমে বাড়ির কালাগাছ থেকে পাতা কেটে নিলেন কবিতা ৷ তার পর শুরু হল ইলিশ মাছ কাটার পর্ব ৷ মাছ কেটে ধুয়ে নেওয়ার পর সব মশলা শিলনোড়ায় বেটে নিলেন পুষ্পরানি ৷ কাঁচাপাকা মিলিয়ে প্রথমে একগুচ্ছ লঙ্কা ৷ তার পর বেটে নিলেন সর্ষে ৷ এ বার নুন, হলুদ, সর্ষেবাটা ভাল করে মাখিয়ে নিলেন ইলিশমাছের গায়ে ৷ প্রতিটা মাছের সঙ্গে দিলেন একটা করে আস্ত কাঁচালঙ্কা ৷ তার পর কলাপাতার টুকরোয় মশলামাখা মাছ রেখে বেঁধে দিলেন সুতো দিয়ে ৷
advertisement
আরও পড়ুন : পুজোর ভোগে খিচুড়ির পাশে চাই সুগন্ধি লাবড়া, প্রাচীন এই পদের রন্ধনপ্রণালী ও টিপস আপনার জন্য
এ বার উনুনের গনগনে আঁচে মাটির সরা বসিয়ে তাতে ভাল করে তেল মাখিয়ে নিলেন ৷ তেল মাখানো সরা গরম হতেই একটা করে পাতুরি বসিয়ে দিলেন সরার উপর ৷
তার পর চাপা দিলেন আরও একটি মাটির সরা দিয়ে ৷ মাঝে মাঝে মাটির সরার ঢাকনা তুলে খুন্তি দিয়ে এপিঠ ওপিঠ করে দিলেন কলাপাতায় মোড়া ইলিশমাছ ৷
আরও পড়ুন : মুঠোবন্দি মাছ-ম্যাজিক! ‘ভিল ফুড’-এর ঠাকুমার রেসিপিতে আপনিও রাঁধুন চিতলের মুইঠ্যা
ভাল করে দু’পিঠ সেঁকা হয়ে যেতেই এক এক করে কলাপাতায় মোড়া মাছগুলিকে নামিয়ে নিলেন পুষ্পরানি ৷ খাঁটি দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি ইলিশ মাছের পাতুরি ৷ পুজোয় আপনিও একদিন এই রেসিপিতে ইলিশ পাতুরি রেঁধে বাড়ির লোক এবং অতিথিদের খাওয়ান ৷ মাটির সরা শহরে না পাওয়া গেলে রাঁধুন ননস্টিক কড়াইয়ে ৷
পুজো অবধিই থাকে ইলিশ মাছের মরসুম ৷ অনেক বাঙাল বাড়িতেই বিজয়া দশমী এবং লক্ষ্মীপুজোয় জোড়া ইলিশ পুজো করা হয় ৷ প্রাচীন এই রীতির অন্তর্নিহিত অর্থ হল ইলিশ মাছের মরসুমের ইতি ঘোষণা করা ৷ এই সময়ের পর থেকে ইলিশভক্ষণে বিরতি দেওয়া হয় এই প্রজাতিকে সংরক্ষণ করার উদ্দেশেই ৷