উজান স্রোতে পাড়ি দেওয়া সেই তরুণের নাম সঙ্কেত পারেখ। আইআইটি বম্বে থেকে পাশ করার পর তিনি আমেরিকায় কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করতেন। কিন্তু মোটা বেতনের সেই চাকরি তিনি ছেড়ে দেন। অথচ সঙ্কেত তার আগে আগাগোড়াই ছিলেন নিরীশ্বরবাদী। তাই তিনি যখন বলেছিলেন দীক্ষা নিতে চান, শুনে চমকে গিয়েছিলেন তাঁর মা।
advertisement
জৈন ধর্ম এবং তার দর্শনের সঙ্গে সঙ্কেতের পরিচয় হয বম্বে আইআইটি জীবনে। তাঁর এক সিনিয়র ভাবিক শাহ তাঁকে অনুপ্রাণিত করেন জৈন দর্শনের বিষয়ে। সব কিছু ছেড়ে আত্মা, মন এবং দেহের সমন্বয় নিয়ে ভাবতে থাকেন। বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে তিনি জৈনধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করতে শুরু করেন। প্রায় আড়াই বছর ধরে আচার্য যুগভূষণসুরজির কাছে জৈনধর্মের রীতিনীতি শেখেন।
সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি ঈশ্বর অবিশ্বাসী ছিলাম। কেরিয়ার অনুসরণ করে চললে সব জাগতিক সুখই পেতাম। কিন্তু আমি অন্তরাত্মার ডাক শুনে মানসিক শান্তি পেতে চেয়েছি। এবং সেই শান্তি আমি পেয়েছি।’’
তিনি কত বেতন পেতেন, সঙ্কেত প্রকাশ করেননি। তবে জানিয়েছেন বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা আয়কর দিতেন। কয়েক বছর আগে সঙ্কেতের বাবার মৃত্যু হয়েছে। সন্ন্যাসগ্রহণের সিদ্ধান্ত মাকে বোঝাতে যথেষ্ট কষ্ট হয়েছে তাঁর। ছেলে সর্বত্যাগী হয়ে সন্ন্যাসী হয়ে যাবেন, তিনি মেনে নিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত যখন জানতে পারেন এই পথেই, এই জীবনেই শান্তি পাবে ছেলে, তাঁর ত্যাগে তিতিক্ষার পথে আর বাধা হয়ে দাঁড়াননি।