গীতাঞ্জলি মিউজিয়াম, বোলপুরে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতীকী স্থান, যা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদানকে সম্মানিত করছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০-তম জন্মবর্ষে ভারতের রেল মন্ত্রক এই মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন। গীতাঞ্জলি নামকরণ করা হয়েছে, ঠাকুরের নোবেলজয়ী কাব্যগ্রন্থের নামে।
advertisement
মিউজিয়ামটির স্থাপত্য শান্তিনিকেতনের উত্তরায়ণ কমপ্লেক্সের ‘উদয়ন’ ভবন দ্বারা অনুপ্রাণিত, যা বোলপুরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে মিলেমিশে যায়। তবে দেখার মত কী রয়েছে এই রেল মিউজিয়ামে? সেই রেলগাড়ি, যার মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ কলকাতা যাওয়ার পথে ১৯৪১ সালের ২৫ অগাস্ট তাঁর শেষ যাত্রা করেছিলেন।
এই যাত্রাটি মিউজিয়ামের নিচের তলায় প্রদর্শিত, যা পর্যটকদের জন্য একটি গভীর আবেগপ্রবণ অভিজ্ঞতা তৈরি করে। এছাড়াও, মিউজিয়ামটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যিক ও দার্শনিক অবদানগুলির একটি বিশাল সংগ্রহস্থল হিসেবে কাজ করে। এখানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিঠিপত্র, অমূল্য ছবি, এবং পারিবারিক স্মৃতিচিহ্ন সংগ্রহ করা হয়েছে, যা গবেষকদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। তাই এবার আপনি গেলে অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন এই মিউজিয়ামটি।