কী ভাবে ওজন কমায় ত্রিফলা?
হজম হল শরীরের মূল ক্রিয়া যা আমাদের শরীরের কার্যকারিতা এবং চেহারাকে প্রভাবিত করে। যেহেতু ত্রিফলা হজমকে প্রভাবিত করে এবং পরিপাকতন্ত্রের নিখুঁত ভারসাম্য অর্জনে সহায়তা করে তাই এটি শরীর সুস্থ রাখতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ত্রিফলা কোলন টিস্যুকে শক্তিশালী করে এবং পেটের চারপাশে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করতে সাহায্য করে এবং বিপাককে বাড়িয়ে তোলে। গবেষণা বলছে যারা স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করেন এবং এক্সারসাইজ করেন তাঁরা যদি ত্রিফলা খান তাঁদের আরও বেশি চর্বি কমে, কোমরের আকার ঠিক হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : অনিদ্রায় ভুগছেন? রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে চুমুক দিন সুবাসিত চায়ের পেয়ালায়
কী ভাবে ত্রিফলা খেলে কাজ দেবে বেশি?
পাউডার আকারে, তরল, ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল আকারে ত্রিফলা পাওয়া যায়। তবে যেটা কিনছেন, সেটা যেন খাঁটি হয় এটুকুই মনে রাখা দরকার। সর্বাধিক শোষণ এবং সবচেয়ে কার্যকর ক্রিয়াকলাপের জন্য, খালি পেটে ত্রিফলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। দিনে ৫০০ মিলিগ্রাম থেকে ১ গ্রাম ত্রিফলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় তবে এই ডোজ মূলত শারীরিক অবস্থা, ওজন এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে ঠিক করা হয়। গুঁড়ো ভার্সনে ত্রিফলা সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় এবং গরম জল এবং মধু দিয়ে খাওয়া হয়, বিশেষত খাবারের আগে।
আরও পড়ুন : ভুঁড়ির জন্য বিব্রত? পেটের মেদ কমাতে এই খাবারগুলি খেতেই হবে
কখন ত্রিফলা খাওয়া উচিত নয়
গর্ভবতী হলে বা স্তন্যদানকারী হলে ত্রিফলা না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এটি রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করতে পারে এবং গর্ভপাত ঘটাতে পারে বা সন্তানের ক্ষতি করতে পারে। যদি কেউ ডায়াবেটিক হয় তবে সঠিক ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন ছাড়া ত্রিফলা না খাওয়াই ভালো। যদি ইতিমধ্যেই কেউ গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে ত্রিফলার বেশি ডোজ চলবে না কারণ এটি গ্যাসের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। শিশুদের ত্রিফলার কোনও ডোজ দেওয়া যাবে না, কারণ এটি পেট খারাপ বা ডিহাইড্রেশনের সমস্যা তৈরি করতে পারে।