দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ সম্পন্ন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, শীতে একজন শিশু বা বৃদ্ধকে যেমন ভাবে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন ঠিক তেমনি পোষ্যকে একইভাবে খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত ঠান্ডা এড়িয়ে রাখতে হবে। শীতের সময় সর্দি কাশি এড়াতে পোষ্য কুকুরদের মাঝে মাঝে তুলসী পাতার রস খাওয়ানো যেতে পারে। একইভাবে শিবশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় জানান, লম্বা লোমের কুকুরদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবেই উষ্ণতার একটি আবরণ থাকে। ফলে সাধারণ শীতকালে তাদের তেমন সমস্যা দেখা যায় না। কিন্তু ছোট লোমের কুকুরদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন।
advertisement
শরীরে পর্যাপ্ত লোম না থাকায় ঠান্ডা দ্রুত প্রভাব ফেলে, যার ফলে কাঁপুনি, সর্দি-কাশি, অলসতা কিংবা জয়েন্টের ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁরা জানান, শীতের সময় ছোট লোমের কুকুরদের বাইরে বের করার সময় গরম জামা বা সোয়েটার পরানো অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে ভোর ও গভীর রাতে ঠান্ডা বেশি থাকায় সেই সময় বাইরে না বের করাই ভাল। অন্যদিকে লম্বা লোমের কুকুরদের ক্ষেত্রেও ভেজা অবস্থায় ঠান্ডায় রাখা হলে সমস্যা হতে পারে বলে সতর্ক করেন। খাবারের বিষয়েও আলাদা নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন। শীতে কুকুরের শরীরের শক্তির চাহিদা কিছুটা বেড়ে যায়। তাই পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার দেওয়া দরকার।
ছোট লোমের কুকুরদের ক্ষেত্রে হালকা উষ্ণ খাবার বেশি উপকারী বলে জানান। পাশাপাশি পরিষ্কার ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার জল সব সময় দেওয়ার কথাও বলেন। কুকুরের থাকার জায়গা যেন পরিষ্কার, শুকনো ও ঠান্ডা বাতাসমুক্ত থাকে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। মেঝেতে সরাসরি না শুইয়ে নরম বিছানা বা কম্বল ব্যবহার করলে শীতজনিত সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ‘সব কুকুরের শীত সহ্য করার ক্ষমতা এক নয়। লোমের ধরন বুঝে যত্ন নিলেই শীতকালে পোষ্য কুকুরকে সুস্থ রাখা সম্ভব।’





