আরও পড়ুন- Poila Baishakh 2022 : পয়লা বৈশাখের সাজে লাগুক লাল-সাদার ছোঁয়া! কীভাবে সাজবেন দেখুন
বয়স বাড়লে কোলাজেনের উৎপাদন কমে যেতে থাকে। কোলাজেন ত্বকের অন্যান্য প্রোটিন উপাদানগুলো ভেঙে দেয় এবং হাত কুঁচকে যেতে শুরু করে। এরকম হলে ফিলার নিয়ে হাতের আগের অবস্থা আবার ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। লেজার পদ্ধতিতেও হাতের আগের অবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়। কিন্তু তার চেয়েও আরও বেশি প্রাকৃতিক উপায়ে কাজ করে ডার্মাল ফিলার। এটি হাতের ভলিউম আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
advertisement
আরও পড়ুন- ডায়াবেটিস থেকে হাই কোলেস্টেরল, চোখ দেখেই বোঝা যাবে শরীরের ৬ রোগ
এই পদ্ধতিতে বার্ধক্যজনিত কারণে যে টিস্যু নষ্ট হয়ে যায়, সেটি আবার প্রতিস্থাপন করতে হয়। হাতের পিছনে ইঞ্জেকশন দিয়ে সেই কাজটি সম্পন্ন করা হয়। ডার্মাল ফিলারে একটি জেল ইঞ্জেকশান দেওয়া হয়। এই জেলটি মানবশরীরেই পাওয়া যায়। ডার্মাল ফিলারগুলি শরীরে মুখ, কানের লতি, হাত এবং ঘাড়ের পুনরুজ্জীবনে ব্যবহার করা হয়। ২০ থেকে ৬০ বছর বয়সী যে কেউ ডার্মাল ফিলার ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্যই ইনজেকশনের পরিমাণ বয়স অনুসারে পরিবর্তিত হয়।
ডার্মাল ফিলার ব্যবহার করার পর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী কয়েকটি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ফিলার নেওয়ার পরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করতে হবে। কোনও রকম মেকআপ নিয়ে বা মাসাজ করার পর ফিলার না নেওয়াই ভালো। যাতে ফিলার থেকে কোনও ক্ষত সৃষ্টি না হয়, তার জন্য ফিলার নেওয়ার পরের ২৪ ঘণ্টা কোনও ব্লাড থিনার ব্যবহার করা যাবে না।
কীভাবে ফিলার দেওয়া হবে সেটা ত্বক বিশেষজ্ঞরা নির্ধারণ করবেন। এটা বোটক্স, লেজার বা থ্রেড সহ ফিলার দিয়ে হতে পারে। আবার এগুলো সবটা মিশিয়েও করা যেতে পারে। হাতের কাছে শিরায় ফিলার দিলে ঘা হতে পারে, যা সারতে এক সপ্তাহ লাগতে পারে। বিশেষ কোনও অংশে বেশি পরিমাণে ফিলার দেওয়া হলে গ্রানুলোমা নামে এক ধরনের সংক্রমণ হতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিক বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নির্মূল করা যেতে পারে।