#নয়াদিল্লি: অনেকে বলেন, চোখ হল মনের আয়না। মনের ভালো-মন্দ চোখ দেখেই বুঝে নেওয়া যায়। তবে শুধু মন নয়, চোখ শরীরেরও আয়না। তাই চিকিৎসকের কাছে গেলে পালস, প্রেশার মাপার পাশাপাশি চোখ আর জিভও পরীক্ষা করে দেখেন তাঁরা। তবে চোখের কথা বোঝার জন্য চিকিৎসক হওয়ার দরকার নেই, শুধু পদ্ধতিটা জানতে হবে। ৬ রকম শারীরিক সমস্যা চোখে প্রকাশ পায়। এখানে জানানো হল তারই হালহদিশ।
ডায়াবেটিস: ঝাপসা দৃষ্টি চোখের একটা সাধারণ সমস্যা। তবে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হলেও এমনটা হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে হাই ব্লাড সুগার থাকলে রক্তনালীতে চাপ সৃষ্টি হয়, ফলে চোখে রক্তের মতো লাল দাগ দেখা যায়। চোখে এমন দাগ দেওয়ার অর্থ, রক্তে শর্করার মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাই অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। না হলে অন্ধত্ব নেমে আসতে পারে।
ক্যানসার: স্তন ক্যানসারের লক্ষণ প্রকাশ পায় চোখে। ক্যানসারের কোষ যখন শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে তখন তা জানান দেয় চোখ। আসলে ক্যানসার ছড়ালে চোখের মধ্যে টিস্যুর মাঝারি স্তরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক সময় চোখে অস্বাভাবিক ক্ষত বা টিউমারও দেখা যায়। তাই ঝাপসা দৃষ্টি, ব্যাথা বা চোখে ঝলকানি কিংবা ভাসমান কিছু অনুভূত হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আরও পড়ুন - এই গরমে পয়লা বৈশাখে সাজবেন কেমন? রইল ৬ মেকআপ টিপস
হাই কোলেস্টেরল: শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ালে আইরিশের পাশে সাদা, ধূসর বা নীল বলয় তৈরি হয়। যদিও বার্ধক্যজনিত কারণেও এমন রিং দেখা যায়। তবে হাই কোলেস্টেরল থাকলেও এমনটা হতে পারে। তাই যে কোনও বয়সে চোখে এমন রিং দেখলে কোলেস্টরলের মাত্রা পরীক্ষা করাতে হবে। মনে রাখতে হবে, হাই কোলেস্টেরল হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
রেটিনার ক্ষতি: অনেক সময় চোখের দৃষ্টিসীমার মধ্যে ধুলোর মতো বস্তু দেখা যায়। বারবার জলের ঝাপটা দিয়ে চোখ পরিষ্কার করলেও সেগুলো যায় না। দৃষ্টিসীমার মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। এগুলিকে ফ্লোটার বলা হয়। রেটিনা ছিঁড়ে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে চোখের মধ্যে এমন ফ্লোটার দৃশ্যমান হয়। এমন লক্ষণ দেখা দিলে উপেক্ষা করা উচিত নয়। না হলে দীর্ঘমেয়াদে চোখের ক্ষতি হতে পারে।
সংক্রমণ: মাঝে মধ্যে কর্নিয়াতে সাদা দাগ দেখা যায়। এটা সংক্রমণের লক্ষণ। চশমার পরিবর্তে যারা কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এটা বেশি দেখা যায়। ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের ফলে দূষিত লেন্সের জন্য এমন সংক্রমণ হয়। এতে কর্নিয়ায় চিরস্থায়ী দাগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ব্যথাও হতে পারে।
জন্ডিস: চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে গেলে সেটা জন্ডিসের লক্ষণ। এই রোগে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। বিলিরুবিন হল লাল রক্তকণিকা ভাঙনের ফলে তৈরি হওয়া একধরনের হলুদ যৌগ। যাকে লিভার সঠিকভাবে ফিল্টার করতে পারে না। জন্ডিস হলে প্রস্রাব এবং ত্বকও হলুদ হয়ে যায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।