এ থেকে বাঁচার উপায়? তেল, ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া রোধে মুখ এবং দাড়ি পরিষ্কার রাখতে হবে। এছাড়া আরও কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই দাড়ি চুলকানির হাত থেকে বাঁচা সম্ভব। সেগুলি দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
ক) দাড়ির যত্নের জন্য তৈরি এমন ফেস ওয়াশ কিংবা ব্রেড ওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। দাড়ির চুলকে প্রাকৃতিকভাবে তৈলাক্ত রাখতে জোজোবা আরগান তেলের সঙ্গে লাগাতে হবে দাড়ি কন্ডিশনার।
advertisement
খ) নতুন বিয়ার্ড অয়েল বা কন্ডিশনার ব্যবহার করার আগে একটা প্যাঁচ টেস্ট করে নেওয়া জরুরি। কারণ কিছু কিছু পণ্য কমেডোজেনিক এবং ব্রণর সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
গ) দাড়ি ট্রিম করার সময় প্রাকৃতিক আফটার শেভ লোশন বা ওয়াশই ব্যবহার করা উচিত। যেমন চা গাছের তেল বা অ্যালোভেরা। রুক্ষ, সিন্থেটিক রাসয়নিক আছে এমন পণ্য এড়িয়ে চলাই ভালো।
ঘ) প্রথমবার দাড়ি বাড়ানোর সময় শেভ এবং ট্রিমিং এড়াতে পারলে সবচেয়ে ভালো। এটা চুলকে ফলিকলের বাইরে বাড়তে দেয়। এতে জ্বালাভাব কমে। ত্বক বা ফলিকলের ক্ষতি হয় না।
আরও পড়ুন: বর্ষায় নাজেহাল করে দেয় এই ৫ অ্যালার্জি, দেখে নিন মুক্তির উপায়!
ঙ) ত্বকের অবস্থার উপর নির্ভর করে চিকিৎসক অনেক সময় মলম, ক্রিম বা লোশন প্রেসক্রাইব করেন। সাধারণত ল্যাকটিক অ্যাসিড বা ইউরিয়া আছে এমন মলম বা ক্রিম দেওয়া হয়। এগুলো শুষ্ক ত্বকের জন্য দারুণ কার্যকরী। এছাড়াও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আছে মুপিরোসিন (ব্যাকট্রোবান)। ছত্রাক সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম দেওয়া হয়। একজিমা থাকলে হাইড্রোকর্টিসোন, ক্লোবেটাসোল (কর্মাক্স), বা ডেসোনাইড (ডেসোনেট) সেবোরিক দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বর্ষায় কলা খাওয়া কতটা নিরাপদ, জেনে নিন
সার্জারি এবং পদ্ধতি: ঘন ঘন সংক্রমণ এবং জ্বালাভাবের সঙ্গে চুলকানি দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসক লেজার হেয়ার রিমুভালের পরামর্শ দিতে পারেন। অনেক সময় ফোঁড়া বা কার্বাঙ্কলের জন্য হালকা অপারেশনও করা হয়। উল্লেখ্য, কার্বাঙ্কল ত্বকের ফোঁড়া নামেও পরিচিত। এটা আসলে একগুচ্ছ ফোড়া যা সংক্রমণের কারণে হয়। ফটোডাইনামিক থেরাপি হল আরেকটি চিকিৎসার বিকল্প। এটি চুলের ফলিকলগুলির সংক্রমণ এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কার্যকর।