নিয়মিত ট্রিম করতে হবে: বর্ষার ঠান্ডা আমেজ আছে। তাই এই সময়ে নিয়মিত দাড়ি ছাঁটতে হবে। নাহলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত ছাঁটলে দাড়ির প্রান্তভাগ ভালো থাকে। এতে চুলকানি কম হয়। তাছাড়া নিয়মিত দাড়ি ছাঁটলে দেখতেই ভালো লাগে।
দাড়ির তেল: অনেকে মনে করেন আর্দ্র আবহাওয়ায় তেল লাগালে দাড়ি ভালো থাকবে। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। সাধারণত দাড়ি বৃদ্ধির জন্য তেল লাগানো হয়। এটা দাড়িকে পুষ্টি যোগায় এবং হাইড্রেটেড রাখে। তাছাড়া দাড়িতে টি স্টাইল করতে চাইলে তেল দারুণ কাজে আসে।
advertisement
আরও পড়ুন: বেশি পেইন কিলার খান? সাবধান! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অসুখগুলো আপনার জন্য অপেক্ষা করছে
সঙ্গে দাড়ি ব্রাশ বা চিরুনি রাখতে হবে: বড় দাড়িতে অনেক সময় গিঁট বা জট পড়ে যায়। জট ছাড়াতে দাড়ি ব্রাশ বা চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নেওয়া যায়। এটা করলে দাড়িকে সঠিক জায়গায় সেট করা যাবে।
দাড়ি পরিষ্কার রাখতে হবে: শুধু বর্ষা নয়, বড় দাড়ি রাখতে চাইলে সব ঋতুতেই এটা মেনে চলতে হবে। পরিষ্কার রাখতে হবে দাড়ি। অনেক সময় তেল বা সিবাম দাড়ির নিচের ত্বকে আটকে যায়। এভাবে বেশিক্ষণ থাকলে চুলকানি, ফুসকুড়ি এমনকী ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এজন্য নিয়ম করে দাড়ি পরিষ্কার করতে হবে। দাড়ি পরিষ্কারের জন্য বাজারে বিশেষ কিছু পণ্য বিক্রি হয়। সেগুলো ব্যবহার করা যায়। ময়লা, তেল, জীবাণু, দূষণ ও মৃত ত্বক দূর করতে প্রতিদিন মুখ ও দাড়ি ধোয়া গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: মেনোপজের পর এভাবে যত্ন নিন, ত্বক থাকবে তরুণীর মতো কোমল আর তুলতুলে!
দাড়ি শুকনো রাখতে হবে: মন রাখতে হবে, দাড়ি পরিষ্কারের পর তোয়ালে দিয়ে ঘষে মোছা চলবে না। ড্রায়ারও নৈব নৈব চ। শুকোতে হবে প্রাকৃতিক ভাবে। তবে শুকোতেই হবে। ভেজা দাড়ির চুল বিশেষ করে বর্ষাকালে ভারি মন হয়। তাছাড়া ভেজা থাকলে দাড়ির নিচের ত্বকেও বাতাস পৌঁছতে পারে না। এর ফলে ত্বক এবং লোমকূপে ব্রণ এবং সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
সঠিক ডায়েট: একটা ভাল ডায়েট চুলের ফলিকলগুলিকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায়। যা দাড়ির বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।