একটা বয়সের পর মেয়েদের ঋতুস্রাব পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময়টাকেই মেনোপজ বলে। পৃথিবীর সব নারীর জীবনেই একটা বয়সে এটা ঘটে। এই সময়ে অনেকেই হতাশায় ভোগেন। অবসাদ গ্রাস করে। স্বাভাবিকভাবে বাঁচাই ভুলে যান অনেকে। কিন্তু মনে রাখতে হবে মেনোপজ মানে জীবন শেষ নয়। বরং সব বয়সেরই একটা নিজস্ব মাধুর্য আছে। সেটা খুঁজে নিতে পারলেই হাসিখুশিতে ভরে উঠবে জীবন।
মেনোপজের লক্ষণ: শরীরে ব্যথা, রাতে ঘাম, চুলকানি, মুড স্যুইং, শুষ্ক ত্বক, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া মেনোপজের কয়েকটি লক্ষণ। সাধারণত মহিলাদের ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সে মেনোপজ আসে। অনেকের এর আগেও মেনোপজের লক্ষণ দেখা যায়। মেনোপজ সনাক্ত করার সবচেয়ে বড় উপায় হল, ১২ মাস বা এক বছর ধরে অনিয়মিত ঋতুস্রাব। তবে আগেই বলা হয়েছে, মেনোপজ মানে জীবন শেষ নয়, বরং নতুন শুরু। এই বয়সের পর কীভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হয় সেটা এবার দেখে নেওয়া যাক।
ক্লেনজিং: ময়লা এবং তেল মুক্ত রাখাই স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বল ত্বকের প্রথম পদক্ষেপ। তাই ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। এ জন্য প্যারাবেন নেই এমন ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে বলা হয়। এটা ত্বকের যে কোনও চিকিৎসায় ভালো কাজ দেয়। তবে ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের ভারসাম্য নষ্ট করে দেবে এমন বিউটি প্রোডাক্ট এড়িয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন : ফিল্টার্ড ওয়াটার না কি ফোটানো জল? শরীরের জন্য কোনটা ভাল?
এক্সফোলিয়েশন: এই বয়সে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সপ্তাহে অন্তত একবার এক্সফোলিয়েট করতে হবে। এ জন্য ব্যবহার করতে হবে উপযুক্ত স্ক্রাব। এটা ব্ল্যাকহেডস দূর করতেও কার্যকরী ভূমিকা নেয়। ত্বকচর্চায় এএইচএ, বিএইচএ, পিএইচএ-এর মতো রাসয়নিক এক্সফোলিয়েন্টগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : বাঙালির চায়ের সঙ্গে থিন অ্যারারুট বিস্কুট এক ও অদ্বিতীয়! জানুন অ্যারারুটের অঢেল উপকারিতা
ফেশিয়াল সিরাম, সাপ্লিমেন্ট: মেনোপজ পরবর্তী সময়ে ত্বকে কোলাজেনের মাত্রা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কোলাজেন-বুস্টিং পণ্যগুলিতে সাধারণত ভিটামিন সি এর শক্তিশালী উপস্থিতি থাকে। ভিটামিন সি প্রাকৃতিকভাবে সাইট্রাস ফল, স্ট্রবেরি, ব্রকলি, সবুজ বা লাল লঙ্কায় পাওয়া যায়। এ জন্য সাপ্লিমেন্টও নেওয়া যায়। রেটিনয়েড কোলাজেনের উৎপাদন বাড়লে ত্বকে সূক্ষরেখা এবং বলিরেখা অদৃশ্য হয়ে যাবে। এটা ত্বকে রক্তের প্রবাহ বাড়ায়। ফলে প্রাকৃতিক আভা আসে।
হাইড্রেশন এবং ময়শ্চারাইজেশন: ত্বককে হাইড্রেট করা, বিশেষ করে মেনোপজের পরে অপরিহার্য। এ জন্য জেল ভিত্তিক পণ্য ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এগুলো জয়েন্ট এবং টিস্যুতে লুব্রিকেটিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। ত্বককে রাতারাতি কোমল এবং মোলায়েম করে তোলে। ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে এবং পুষ্টি জোগাতে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতেও ভুললে চলবে না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।