Painkillers: বেশি পেইন কিলার খান? সাবধান! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অসুখগুলো আপনার জন্য অপেক্ষা করছে

সামান্য শারীরিক সমস্যাতেই টপাটপ পেইন কিলার খাচ্ছেন? চিকিৎসকরা বলছেন, বিরাট বিপদ ডেকে আনছেন! বেশি পেইন কিলার খেলে শরীরে বাসা বাঁধে এই গুরুতর অসুখগুলি

ব্যথা নাশক ওষুধ বা পেন কিলার যেমন আইবুপ্রোফেন, অ্যাসপিরিন এবং ন্যাপ্রোক্সেন অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে পেটে ব্যথা, জ্বালা এমকী আলসারও হতে পারে।

পেইন কিলার বিশেষ করে প্যারাসিটামল লিভারের ক্ষতি করে। প্রতিদিন ৮টি ট্যাবলেট (৫০০ মিলিগ্রাম) খেলে লিভারের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে।

পেইন কিলার ডিপ্রেশনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস করে। তাই যাঁরা বিষণ্ণতায় ভুগছেন এবং অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট গ্রহণ করছেন, তাঁরা ঘন ঘন ব্যথা নাশক ওষুধ (NSAIDs) খাবেন না।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস (NSAIDs) হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। যাঁরা এই ওষুধগুলি ব্যবহার করেন, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন এবং নেপ্রোক্সেন-এর মতো পেইন কিলার রক্ত পাতলা করে। যাঁদের রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা এবং হার্টের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য এই ওষুধগুলি উপকারি হতে পারে। তবে যাঁরা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তাঁদের যে কোনও ব্যথা নাশক ওষুধ(NSAIDs)এড়িয়ে চলা উচিত। এতে রক্ত বেশি পাতলা হয়ে যেতে পারে এবং অত্যধিক রক্তপাত হওয়ার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।

উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা আইবুপ্রোফেন এবং ন্যাপ্রোক্সেন-এর মতো ব্যথা নাশক ওষুধ গ্রহণ করলে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। কিডনি ফেলিওর-ও হতে পার।