সে কথা মাথায় রেখেই বাজারে এসেছে লিপ এবং চিক টিন্টস। ঠোঁটে, গালে একবার লাগিয়ে নিলে ১২ ঘণ্টা থাকবে। টাচ আপের প্রয়োজন হবে না। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মরবে। প্রথমত বার বার মেকআপের টেনশন থেকে মুক্তি। দ্বিতীয়ত ভ্যানিটি ব্যাগে মেকআপ কিট নিয়েও ঘুরতে হবে না। জায়গা বাঁচবে, সময় বাঁচবে আর পরিশ্রমও। তাছাড়া এই লিপ এবং চিক টিন্ট সব ঋতুতেই ব্যবহার করা যায়। কী, কামাল করা জিনিস না!
advertisement
আরও পড়ুন: শাড়ি পরেই কবাডি খেলা মহিলাদের! ছত্তিশগড় অলিম্পিক চলাকালীন হু হু করে ভাইরাল ভিডিও
লিপ স্টেইন ব্যবহারের সুবিধে: লিপ স্টিক এবং লিপ স্টেইনের প্রধান পার্থক্য হল স্থায়িত্বে। লিপস্টিক সারাদিন একইভাবে ঠোঁটে থাকে না। মুছে যায়, ঘেঁটে যায়। ফলে টাচ আপের দরকার হয়। এদিক থেকে লিপ স্টেইনের জুড়ি নেই। ওয়াটার বেসড ফরমুলায় তৈরি লিপ স্টেইন ঠোঁটে স্থায়ী ভাবে বসে যায়। শুধু তাই নয়, এটা লাগানোর পর ঠোঁট শুকনোর জন্য আর্দ্রতা বৃদ্ধি করে। ঠোঁটের পাশাপাশি এটা গালেও লাগানো যায়।
আরও পড়ুন: বিছানায় পুরুষের এই ৫ বিষয় মহিলাদের সবচেয়ে বেশি অপছন্দের!
লিপ স্টেইন লাগানোর পদ্ধতি: প্রথমে লিপ স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে, যাতে ঠোঁট মসৃণ হয়ে যায়। এতে মৃত কোষও পরিষ্কার হয়ে যাবে। ঠোঁট শুকিয়ে গেলে লাগাতে হবে লিপ টিন্ট। এটা লাগানোর আগে লিপ লাইনার ব্যবহার করা যায়। তবে বাধ্যবাধকতা নেই। মেকআপ প্যালেটে ২ ফোঁটা নিয়ে ব্লেন্ডিং স্পঞ্জের সাহায্যে গালে এবং ঠোঁটে লাগাতে হবে। অতিরিক্ত রঙ ব্লট করতে টিস্যু ব্যবহার করা যায়।
দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হবে কীভাবে: ক্রিম ভিত্তিক প্রাইমার ব্যবহার করতে হবে। এটাই রঙকে দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখবে। লিপ টিন্ট ব্যবহারের আগে লিপ বাম লাগানো চলবে না। এটা ঠোঁটের আভা ত্বকে প্রকাশ করতে দেয় না। লাগানোর পর ঠোঁটে জিভ বোলালে চলবে না। পিগমেন্ট তৈরি করতে এক বা দুটি স্তর সোয়াইপ করা যায়।