ডাস্টিংয়ের আগে ভ্যাকুয়াম করা: অনেকে প্রথমে ফ্লোর ভ্যাকুয়াম করেন এবং পরে ফার্নিচার বা আলমারির ধুলো ঝাড়েন। এটা একটি বড় ভুল। এর ফলে আগেই পরিষ্কার করা জায়গা আবার ময়লা হয়ে যায়। সঠিক পদ্ধতি হলো – প্রথমে ফার্নিচার, ফ্যান, আলমারি ইত্যাদি ডাস্টিং করে তারপর ভ্যাকুয়াম করা।
আরও পড়ুন: হলদে দাঁত, মুখে পচা গন্ধ? চিন্তার কিছু নেই! ঘরোয়া এই টোটকাতেই ঝকঝকে হবে আপনার হাসি, কীভাবে জানুন
advertisement
সরাসরি ক্লিনার স্প্রে করা: অনেকে ক্লিনার সরাসরি কাচ, কাঠ বা ইলেকট্রনিক ডিভাইসের উপরে ছিটিয়ে দেন। এতে ঐসব বস্তু ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ক্লিনার আগে একটি কাপড়ে লাগিয়ে তারপর সেই কাপড় দিয়ে পেছানোই সঠিক পদ্ধতি।
নোংরা কাপড় বা ঝাড়ু বারবার ব্যবহার করা: একই কাপড়, ঝাড়ু বা মোপ বারবার না ধুয়ে ব্যবহার করলে ঘরের পরিষ্কার না হয়ে বরং ধুলো পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এগুলিকে প্রতি সপ্তাহে সাবান বা গরম জলে ধুয়ে পরিষ্কার রাখা উচিত।
আরও পড়ুন: হঠাৎ জিভে ঝাল লাগলে কী খাবেন! দুধ, জল না মিষ্টি? কোনটা খেলে ঠান্ডা হবেন জানুন…
ওয়াশিং মেশিনে অতিরিক্ত কাপড় ভরা: অনেকে একসঙ্গে অনেক কাপড় ধোয়ার জন্য ওয়াশিং মেশিন পুরো ভরে ফেলেন। এতে কাপড় ভালোভাবে পরিষ্কার হয় না এবং মেশিনের ওপর চাপ পড়ে। সবসময় হালকা করে কাপড় দিন যাতে পানি ও ডিটারজেন্ট ঠিকমতো সঞ্চালিত হতে পারে।
প্রতিটি জায়গার জন্য একই ক্লিনার ব্যবহার করা: অনেকে একই ক্লিনার রান্নাঘর, বাথরুম বা কাঠের ফার্নিচার – সব জায়গায় ব্যবহার করেন। এটা ভুল। প্রতিটি পৃষ্ঠের জন্য আলাদা ক্লিনার দরকার হয়। কাঠের জন্য আলাদা ক্লিনার ব্যবহার করা উচিত আর সাধারণ জায়গার জন্য হালকা সাবান-পানি যথেষ্ট।
বাথরুম পরিষ্কারে অবহেলা: বাথরুম অনেকেই সপ্তাহে একবার পরিষ্কার করেন বা খুব নোংরা হলে তখন। অথচ এখানে প্রতিদিনই জীবাণু, স্যাঁতসেঁতে ভাব এবং গন্ধ জন্মায়। তাই টয়লেট সিট, কল, বালতি, মগ অন্তত দুই দিনে একবার পরিষ্কার করা দরকার।
পুরোনো ক্লিনার ব্যবহার করা: অনেকেই পুরোনো ক্লিনার বা কেমিক্যাল না দেখে বারবার ব্যবহার করে যান। কিন্তু অনেক ক্লিনার সময়ের সঙ্গে তাদের কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। কিছু ক্লিনার তো নষ্ট হয়ে যায় বা তাদের গঠন বদলে যায়। তাই সব সময় এক্সপায়ারি ডেট চেক করুন এবং সময়মতো নতুন ক্লিনার ব্যবহার করুন।