এই পরিস্থিতির শিকার হতে পারে শরীরের যে কোনও ধমনী। যে সব ধমনী অন্ত্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে সেগুলিও।
উচ্চ কোলেস্টেরল এবং অন্ত্রের পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ—
ধমনীর দেওয়ালে কোলেস্টেরল জমা হলে তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। এ ধরনের সমস্যা যে শুধু মাত্র হৃদযন্ত্রে হয়ে থাকে, তা নয়। অন্ত্র, প্লীহা এবং যকৃতেও তা রক্ত সরবরাহকে প্রভাবিত করতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: থলথলে হাত নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন? ১৫ মিনিটে সুডৌল বাহু পেতে পারেন বাড়িতেই! জানুন
অন্ত্রের ক্ষেত্রে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীতে এমন বাধা সৃষ্টি হলে অন্ত্রের পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ বা পিএডি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে যথাযথ চিকিৎসা না হলে সূক্ষ্ম টিস্যুগুলির ক্ষতি হতে পারে।
অন্ত্রের গতিবিধি লক্ষ্য রাখা দরকার—
যে কোনও সময় মল বেগ যা প্রয়োজনে প্রতিহত করা যাচ্ছে না বা মলের সঙ্গে রক্ত বের হলে বিষয়টি চিন্তার হতে পারে। এটি উচ্চ কোলেস্টেরলের ফলে হতে পারে। সাধারণত, উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকলে অন্ত্রে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে এমন ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: ছাত্রীকে ধারালো ব্লেড দিয়ে আঘাত, চাঞ্চল্য বাউড়িয়ায়
এধরনের সমস্যায় ভুক্তভোগীদের সাধারণত বার বার মলত্যাগের প্রয়োজন হয়।
অন্য লক্ষণ—
এর পাশাপাশি
- ঘন ঘন বমি হওয়া
- পেটে রক্তচাপ কমে যাওয়া
- শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া
- অ্যাসিডোসিস, রক্তে হাইড্রোজেন জমা হওয়া প্রভৃতিও উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে হতে পারে।
পিঠের নিচের অংশ —
গবেষকরা দাবি করছেন ধমনীতে কোলেস্টেরল জমা হওয়ার প্রথম নির্দশন দেখা যায় পিঠের নিচের অংশে। শরীরের মধ্যে প্রথম পিঠের নিচের দিকে যাওয়া ধমনীগুলিতে ব্লকেজের লক্ষণ দেখা যায়। এই ধরনের গুরুতর ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য অবিলম্বে রোগ নির্ণয় এবং জরুরি চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ।
কোলেস্টেরল প্রতিরোধ—
কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য খুব কৃচ্ছ্রসাধনের প্রয়োজন হয় না। চিকিৎসা করানোর থেকে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেঁধে রাখাই সব থেকে ভাল উপায়। এর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর জীবনচর্যা বেছে নেওয়াই সব থেকে সহজ উপায়। সঠিক খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম এর অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন। নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে প্রচুর ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য রাখতে হবে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)