গবেষকরা বলেন, লং কোভিডে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা এত সাধারণ কেন, সে বিষয়ে কিছু আলোকপাত করা গিয়েছে৷ যদিও তাঁরা এ বিষয়ে একমত যে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বেশিরভাগ সময়েই জটিল এবং অনেক রকমের হয়ে থাকে৷ লং কোভিডের একাধিক উপসর্গ রয়েছে৷ করোনাভাইরাস সংক্রমণের অনেক দিন পরও সেই উপসর্গ রয়ে যায়৷
আরও পড়ুন : ছেলেরাও কাঁদতে পারে, আবেগপ্রবণ হয়, তাঁদেরও মানসিক সাহায্য প্রয়োজন
advertisement
অক্সফোর্ড, শেফিল্ড এবং ম্যাঞ্চেস্টারের গবেষক দল জেনন গ্যাস স্ক্যান এবং অন্য লাং ফাংশন টেস্টকে তিন ধরনের রোগীর উপর পরীক্ষা করেছেন৷ সেই পরীক্ষার আওতায় ছিলেন লং কোভিডের উপসর্গ-সহ এমন রোগীরা, যাঁদের সংক্রমণের পর হাসপাতালে যাওয়ার দরকার পড়েনি৷ পরীক্ষিত ১২ জনকে কোভিডের উপসর্গ-সহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল৷ কিন্তু তাঁদের মধ্যে লং কোভিডের লক্ষণ ছিল না৷ পাশাপাশি ছিলেন ১৩ জন সুস্থ মানুষও৷
আরও পড়ুন : ওমিক্রন ছেড়ে গেলেও রয়ে গিয়েছে শুকনো কাশি ও সর্দি? রইল কিছু ঘরোয়া টোটকা
নোভেল জেনন পদ্ধতিতে প্রত্যেককে এমআরআই স্ক্যানের সময় জেনন গ্যাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করেছেন৷ অনেক ক্ষেত্রে অক্সিজেনের মতোই আচরণ করে জেনন৷ কিন্তু স্ক্যানের সময় বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করতে পেরেছেন জেনন গ্যাসের গতিবিধি৷
আরও পড়ুন : সুস্থ থাকার জন্য এই খাবারগুলি খেতেই হবে মহিলাদের
মূল গবেষক এবং ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ডক্টর এমিলি ফ্রেজার বলেছেন যে কোভিড রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজিত সমস্যার উৎস জানতে না পারা তাঁদের কাছে বেশ হতাশাজনক৷ কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এক্সরে বা সিটি স্ক্যানে কোনও অসুবিধের ছবি ধরা পড়েনি৷ এমিলির কথায়, ‘‘এই গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এবং আমরা সত্যি আশা করছি যে এই গবেষণা এই বিষয়ের উপর আরও বেশি আলোকপাত করতে পারবে৷’’