আরও পড়ুন : অন্তঃসত্ত্বারা এবং নতুন মা যাঁরা স্তন্যপান করাচ্ছেন, তাঁরা কি টিকা নেবেন? দ্বিধা দূর করলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
ডাক্তার অর্ণব বেরা (Dr Arnab Bera) জানিয়েছে যে, মানুষের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল দুই লাংস। শীতকালে এই দুই অংশের সুরক্ষা বজায় রাখা দরকার। কারণ শীতকালেই বেশি করে দেখা যায় অ্যাস্থমা এবং ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি রোগের প্রকোপ। এই ধরনের রোগীদের সবসময় প্রয়োজন হয় ইনহেলারের। কিন্তু ডা. অর্ণব বেরা জানিয়েছেন যে ওষুধের মাধ্যমেও এই রোগ সারিয়ে তোলা সম্ভব। এছাড়া এই ধরনের রোগীদের শীতকালে একটু বিশেষ সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রনের (Omicron) জন্য এই ধরনের রোগীদের আরও বেশি করে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
advertisement
আরও পড়ুন : ‘ক্রনিক রেসপিরেটরি ডিজিজে বছরভর এড়িয়ে চলুন ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার এবং ঠান্ডা জলে স্নান’
ডাক্তার অলোক রায় (Dr Alok Roy) জানিয়েছেন যে, এই ধরনের অ্যাস্থমা এবং ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি রোগের ক্ষেত্রে ধূমপান খুবই ক্ষতিকারক। এর ফলে এই ধরনের রোগীদের ধূমপান থেকে বিরত থাকা দরকার। ধূমপানের থেকে তাদের শরীরে প্রবেশ করে প্রায় ৪০০০ ক্ষতিকারক কেমিক্যাল। এর ফলে শীতকালে যখন এই ধরনের রোগীরা ধূমপান করে তখন তাঁদের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এর ফলে এই ধরনের রোগীদের শীতকালে বিশেষ সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এই সময় তাঁদের গুরুত্ব সহকারে এই বিষয়ের ওপরে নজর দেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন : ‘ডাবল মাস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখবেন না’, পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের
এই ধরনের অ্যাস্থমা এবং ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি রোগীদের মধ্যে যাঁরা ধূমপান করে তাঁদের জন্য বিশেষ কাউন্সেলিং প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ধরনের প্রোগ্রাম চালানো হয় প্রায় ৬ থেকে ১২ সপ্তাহ ধরে। ধূমপানের অভ্যাস থেকে এই ধরনের রোগীদের ফিরিয়ে আনার জন্য এই ধরনের বিশেষ কাউন্সেলিং প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করা হয়। কারণ এই ধরনের অ্যাস্থমা এবং ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি রোগীদের ক্ষেত্রে ধূমপান খুবই ক্ষতিকারক।