কিন্তু তাই বলে না বুঝে শুনে মুঠো মুঠো ভিটামিন খাওয়াও ঠিক নয়। কারণ তার আগে জেনে নেওয়া দরকার যে কোন ভিটামিনের কী উপকারিতা আছে এবং কোনটা কত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
ভিটামিন এ (Vitamin A)
এই ভিটামিন খাবারে বিটা ক্যারোটিন রূপে উপস্থিত থাকে। যেহেতু এই ভিটামিনে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে তাই সানস্ক্রিন,ময়েশ্চারাইজার ও অ্যান্টি-এজিং সিরামে এই ভিটামিন থাকে। একজন সুস্থ পুরুষ ৭০০ এমসিজি ও একজন সুস্থ মহিলা ৯০০ এমসিজি ভিটামিন এ নিতে পারেন। গাজর, কুমড়ো, আম, পেঁপে, পালংশাক, ডিমে থাকে ভিটামিন এ।
advertisement
আরও পড়ুন: ব্রণ ও অ্যাকনে থেকে মুক্তি পেতে এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলি
উপকারিতা
১) কোষের বৃদ্ধি এবং পুনর্নবীকরণকে সহজতর করে।
২) কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
৩) সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
৪) দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে।
৫) ত্বক আর্দ্র রাখে।
ভিটামিন সি (Vitamin C)
এটি অ্যাসকরবিক অ্যাসিড নামেও পরিচিত। পুরুষরা ৯০ মিলিগ্রাম ও মহিলারা ৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি নিতে পারেন। টম্যাটো, লেবু, কিউয়িতে থাকে এই ভিটামিন।
উপকারিতা
১) এটি ত্বকের ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
২) কোলাজেনের বৃদ্ধি করে।
৩) সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচায়।
৪) ত্বক উজ্জ্বল রাখে।
ভিটামিন ই (Vitamin E)
স্বাস্থ্যকর,উজ্জ্বল ত্বকের জন্য আদর্শ হল এই ভিটামিন। যে কেউ ১৫ মিলিগ্রাম নিতে পারেন। আমন্ড বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে।
উপকারিতা
১) ত্বক আর্দ্র রাখে।
২) সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা করে।
৩) বলিরেখা কম করে।
৪) ত্বক মসৃণ ও সতেজ রাখে।
ভিটামিন ডি (Vitamin D)
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে এই ভিটামিন। যে কেউ ২০ মিলিগ্রাম নিতে পারেন এই ভিটামিন। ডিম ও মাছে থাকে ভিটামিন ডি।
উপকারিতা
১) ত্বককে জীবাণু এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক থেকে রক্ষা করে।
২) ত্বক আর্দ্র রাখে।
৩) ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
আরও পড়ুন: প্রাতরাশে ফলের রস খাচ্ছেন? এই ভুলগুলো করছেন না তো?