হলুদ মাখন:
এই মাখন আবার সল্টেড মাখন হিসেবেই পরিচিত। সাধারণত পাউরুটি বা টোস্টের সঙ্গেই এই মাখন খাওয়া হয়। এই ধরনের মাখনে আসলে হলুদের একটা আভা থাকে। কারণ এর মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ফ্যাট থাকে। আর এই মাখনের মধ্যে লবণ যোগ করা হয় বলে এটা বহু দিন টিকে থাকে। হলুদ মাখন আসলে প্রক্রিয়াজাত এবং এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স-ফ্যাট থাকে। যার ফলে এর ক্যালোরির পরিমাণও অনেকটাই বেড়ে যায়। যদি এই হলুদ মাখন অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হলে তা শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রার জন্য খুব একটা ভাল নয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ডিম্বাণুর গুণমান উন্নত করতে ডায়েটে এসব রাখছেন তো? অবশ্যই জানুন
সাদা মাখন:
সাদা মাখন আসলে ননী হিসেবে পরিচিত। এটা মূলত মাখনের প্রাকৃতিক, অ-প্রক্রিয়াজাত বা আনপ্রসেসড সংস্করণ। এর মধ্যে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বা ভাল ফ্যাট। এমনকী মালাইয়ের সাহায্যে ঘরে সহজেই এই সাদা মাখন প্রস্তুত করা যায়। আর একটা মজার বিষয় হচ্ছে, মালাই থেকে মাখন প্রস্তুত করার সময় আর একটি উপাদান পাওয়া যায়। আর সেটা হল বাটারমিল্ক। যা পেটের স্বাস্থ্যের জন্য তো ভালই, সেই সঙ্গে ওজন কমাতেও সহায়ক। সাদা মাখন তৈরি করার পরে তা ঘরোয়া ঘি প্রস্তুত করার কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে। হলুদ মাখনের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে যে, সাদা মাখন খুব বেশি দিন টেকে না। তবে ফ্রিজারে রাখলে তা অনেক দিন টিকে যায়।
কোনটা খাওয়া নিরাপদ?
যাঁরা রোজ মাখন খেতে পছন্দ করেন, তাঁরা যদি পরিমিত পরিমাণে সাদা এবং হলুদ মাখন খান, তাহলে সেটা ক্ষতিকর নয়। বরং নিরাপদই। তবে বিশেষজ্ঞরা সাদা মাখন খাওয়ারই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আসলে সাদা মাখনের সবথেকে ভাল ব্যাপার হচ্ছে, এটা বাড়িতেই বানানো যায়। আর এটার জন্য কোনও রকম প্রক্রিয়াকরণ, রাসায়নিক, রঙ কিংবা লবণের প্রয়োজন হয় না। ১ টেবিলচামচ সাদা মাখনের মধ্যে থাকে ৯০ ক্যালোরি আর সেখানে ওই একই পরিমাণ হলুদ মাখনে থাকে ১০৫ ক্যালোরি।
আরও পড়ুন: পরীক্ষার হলে ঢুকেই অজ্ঞান ছাত্র, কারণ চারিদিকে এত মেয়ে!
সাদা মাখন তৈরির প্রক্রিয়া:
- একটি বড় বাটি ভরে মালাই নিতে হবে। অবশ্যই তা ঘরোয়া তাপমাত্রায় থাকতে হবে। এর পর ওই মালাই ব্লেন্ডার জারে দিতে হবে।
- তার সঙ্গে ওই ব্লেন্ডারে এক কাপ ঠান্ডা জল যোগ করে তা ভাল ভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে পালস মোডে ব্লেন্ড করা সবথেকে ভাল।
- এবার ব্লেন্ডার জার খুলে সেই মিশ্রণ একটি বড় বাটিতে নিয়ে নিতে হবে।
- দেখা যাবে, ওই মিশ্রণ থেকে মাখন আলাদা হয়ে গিয়েছে আর একটা জলীয় তরল উপাদান পড়ে রয়েছে।
- এর পর তাতে আরও এক কাপ ঠান্ডা জল যোগ করতে হবে। এবার ধীরে ধীরে মাখনের অংশগুলিকে বের করে আনতে হবে।
- এবার মাখনের অংশটাকে হাতে নিয়ে হালকা করে চাপ দিয়ে চটকে নিয়ে তা একটি বড় বাটির মধ্যে রাখতে হবে।
- এর পর ওই সাদা মাখন ফ্রিজে ১০ থেকে ১২ মিনিট মতো রেখে ঠান্ডা করে নিলেই তা খাওয়ার জন্য একেবারে প্রস্তুত।