পেস্তা আসলে বাদাম জাতীয় শুকনো ফল। মধ্য এশিয়ায় ব্যাপক ভাবে পাওয়া যায় এই ফল। পেস্তার খোলস পাকলে পাতলা হয়ে যায়। তখন একদিক এমনিতেই দু’ভাগ হয়ে যায়। এভাবে ভিতর থেকে পেস্তা বের করে নেওয়া সহজ। উপরের বাদামি আস্তরণ সরিয়ে দিলেই ভিতরের সবুজ ফল দেখতে পাওয়া যায়।
পেস্তার অনেক গুণ। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—
advertisement
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট—
পেস্তার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। তার ফলে এই শুকনো ফল খাদ্য তালিকায় রাখা হলে, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
আরও পড়ুন: সাইকেলের লিক সারাতেন এক সময়, এখন একাই বুর্জ খলিফার ২২ ফ্ল্যাটের মালিক! কে এই ব্যক্তি?
ফাইবার ও প্রোটিন—
পেস্তায় রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফাইবার। শুধু তাই নয়, বাদাম জাতীয় এই ফল প্রোটিনেও ভরপুর। তাই একাধারে প্রোটিন ও ফাইবার পাওয়া যাওয়ার জন্য পেস্তা হয়ে উঠতে পারে আদর্শ খাদ্য। তাতে স্বাস্থ্য রক্ষা করে চলা সহজ হয়ে যেতে পারে।
খনিজ উপাদান—
নানা ধরনের খনিজ উপাদানে ভরপুর এই পেস্তা। তার মধ্যে অন্যতম হল ফসফরাস, পটাসিয়াম। শরীরে এই সব উপাদানের ঘাটতি মেটাতে পারে পেস্তা।
আরও পড়ুন: রাজ্যের মন্ত্রী ও পুত্রকে আয়কর নোটিস! জ্যোতিপ্রিয়-পর্বের মধ্যেই নতুন ‘বিস্ফোরণ’
শুধু তাই নয়, পেস্তা থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি-৬।
চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখে পেস্তা—
আগেই বলা হয়েছে পেস্তা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে রয়েছে লুটেইন এবং জেক্সানথিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই দুই উপাদান মানব চক্ষুর স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে।
শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে—
পেস্তায় উপস্থিত প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, পেস্তা প্রোটিনেও ভরপুর, সঙ্গে রয়েছে ভাল ফ্যাট। এসবই শর্করা বৃদ্ধি রোধ করতে পারে।
বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে—
পেস্তায় উচ্চ হারে ফাইবার থাকে। যা বিপাকক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। তার ফলে কোষ্ঠবদ্ধতার সমস্যাও কম হতে পারে।
ক্রনিক রোগ থেকে রক্ষা—
পেস্তায় রয়েছে গামা-টোকোফেরল নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ক্রনিক রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারে।
ত্বকের স্বাস্থ্য—
পেস্তায় নানা ধরনের খনিজ পদার্থ, ভিটামিন এবং বিশেষত ভিটামিন ই-এর উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। তাই ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করতেও পেস্তার জুড়ি মেলা ভার।