কম কিন্তু ঘন ঘন খাবারের উপকারিতা: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা দারুণ। কম কিন্তু ঘন ঘন খেলে সারাদিনে কখনওই খুব বেশি খিদে পাবে না। পাশাপাশি বিপাক প্রক্রিয়াও উন্নত হবে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত খাওয়াও এড়ানো যাবে। এটা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখবে এবং সারাদিনে শক্তি হ্রাস রোধ করতেও সাহায্য করবে।
গবেষণা যা বলছে: একাধিক গবেষণাও কম কিন্তু ঘনঘন খাবারের এই ডায়েটকেই সমর্থন করছে। বলা হচ্ছে, এটা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করবে। গবেষকরা দেখেছেন, যাঁরা দিনে ৩ বার পেট ভরা খাবার খান তাঁদের তুলনায় অল্প কিন্তু ঘন ঘন খাবারের ডায়েটে কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ২০১৯-এর ক্রস সেকশনাল স্টাডিতেও তাই দেখা গেছে। তিন বেলা খাওয়ার থেকে চারবারের বেশি খাওয়ায় এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমেছে।
advertisement
কিন্তু ওজন কমাতে এই ডায়েট কতটা সহায়ক? এক্ষেত্রে দ্বিধাবিভক্ত গবেষকরা। ওটাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওজন কমানো জন্য কম ক্যালোরি ডায়েটে তিনবার খাবারের চেয়ে ছয় বার খাওয়ার কোনও সুবিধে নেই। আরেকটা গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দিনে ৬ বার খাওয়া আসলে মানুষের খাওয়ার ইচ্ছেকেই আরও বাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: Balance Diet: বহু পরিশ্রমেও ওজন কমছে না! শরীরের ধরন বুঝে ডায়েট প্ল্যান করলেই ম্যাজিক দেখবেন!
কাদের অল্প কিন্তু ঘন ঘন খাবার খাওয়া উচিত: এটা এককথায় বলা শক্ত। কার ক্ষেত্রে কাজ করবে সেটা পরীক্ষা করে দেখাই একমাত্র উপায়। তবে নিউট্রিশন ইন ক্লিনিকাল প্র্যাকটিস-এ প্রকাশিত একটি পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে, যাঁদের হজমের সমস্যা আছে, অল্প খাবারেই তুষ্ট, বমি বমি ভাব কিংবা শরীরে ফোলাভাব রয়েছে তাঁরা এই ডায়েটে উপকার পেতে পারেন। ওজন কমানো মূল লক্ষ্য হলে, দৈনিক ক্যালোরি মেপে খেতে হবে। আরেকটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অল্প পরিমাণ খাবারে প্রক্রিয়াজাত খাবার কিংবা স্ন্যাক্স রাখলে চলবে না।
আরও পড়ুন: Fresh Green Chili: মেগা ঘরোয়া টোটকায় বর্ষাতেও সুপার ফ্রেশ থাকবে কাঁচালঙ্কা!
দিনে ৩ বার পেট ভরা খাবারে ওজন কমবে: ওই যে আগেই বলা হল, ক্যালোরি গুরুত্বপূর্ণ। দিনে ৩ বার খাবারে যদি শরীরে মাপা ক্যালোরি যায় তাহলে ওজন কমবে। তবে খাবারে যাতে বেশি নুন বা চিনি না থাকে সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে।