সন্তানের ওজন তার বয়সের অনুপাতে ঠিকঠাক কি না, তা বোঝার জন্য হাতের কাছে ডাক্তার তো রয়েছেনই! তাঁকে দিয়ে একবার চেক আপ করিয়ে নিলেই ব্যাপারটা বোঝা যাবে। এর পর যদি দেখা যায় যে সন্তানের ওজন বয়সের অনুপাতে কম, তখন তাকে ভালো করে খাওয়া-দাওয়া করানোর জন্য কাজে আসতে পারে এই কয়েকটা টিপস (Healthy ways to help your underweight child gain weight)!
advertisement
আরও পড়ুন- ব্লাড সুগার নিয়ে চিন্তায় আছেন? সমাধানের পথ বাতলে দেবে আয়ুর্বেদ!
১. হাই ক্যালোরি ডায়েট
সন্তানের ওজন বয়সের অনুপাতে কম হলে খাইয়ে সেটা ঠিক করতে হবে। এই জায়গায় তার ডায়েটে রাখতে হবে উচ্চ ক্যালোরিসম্পন্ন খাবার। এক্ষেত্রে কাজে আসবে নানা ধরনের মিল্ক শেক, স্মুদি এবং আলুর নানা পদ। সবক'টাই মুখরোচক, ফলে খাওয়ার জন্য খুব বেশি সাধতে হবে না।
২. ফ্যাট আর প্রোটিন
ওজন বাড়ানো জন্য এই দুইয়ের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সন্তানের ডায়েটে চিজ, দুধ, ডিম, মাংস, তৈলাক্ত মাছ, বাদাম, দানাশস্য রাখতে হবে। এগুলোও খেতে বেশ ভালো, ফলে বাচ্চারা সচরাচর বায়নাক্কা করে না খাওয়ার সময়ে।
৩. বারে বারে খাওয়া
একেকবারে অনেকটা না খাইয়ে বাচ্চাদের বারে বারে খাওয়ানোটাই উচিত হবে- তাতে গায়ে গত্তিও লাগবে। তবে কতবার খাওয়ালে ঠিক হবে, সেটা নির্ধারণ করে দেবেন ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ান।
৪. খাওয়ার আগে পানীয় নয়
সন্তানকে খেতে দেওয়ার আগে জল বা কোনও রকম পানীয় দেওয়া চলবে না, তাহলে তার পেট ভরে থাকবে, তখন আর ভালো করে খাওয়াটাই হবে না।
৫. ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সন্তানকে ওজন বাড়ানোর জন্য ভিটামিন সাপ্লিমেন্টও দেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন- পুষ্টিগুণে তুখোড়; শুধু সুস্বাদু তরকারি নয়, এবার থেকে মন মজে যাবে আলুর দুধেও!
৬. বাধ্য না করা
এতক্ষণ বলা হয়েছে খাদ্যতালিকার কথা! এর সঙ্গে এবার একটা মানসিক ব্যাপারও খেয়াল রাখতে হবে। সন্তানকে বকে-ঝকে খেতে বাধ্য করা যাবে না। অনিচ্ছায় খেলে কিন্তু আখেরে শরীর খারাপই হয়!
৭. প্রয়োজন মতো শরীরচর্চা
শুধু পেট ঠেসে খেয়ে গেলেই চলবে না, তার সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হবে একটু-আধটু শরীরচর্চার দিকেও- তবেই শরীর আদর্শ ভাবে ওজন বাড়াবে নিজের। সেই সঙ্গে ওবেসিটির ভয়টাও থাকবে না!