advertisement
তাই বাচ্চাদের ত্বকের সুরক্ষার জন্য ত্বক পরিচর্যার রুটিন অনুসরণ করা উচিত। যাতে দীর্ঘ সময় ধরে ত্বকে ময়েশ্চার বজায় থাকে। তাই শিশুদের ত্বকের জন্য সেরা ত্বক পরিচর্যার রুটিন বেছে নেওয়া উচিত। সেই বিষয়েই পরামর্শ দিচ্ছেন হাওড়া ডিবি আই ফাউন্ডেশন রিসার্চ সেন্টার, হাওড়া মিত্র সংঘ, ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটাল, আইএলএস হাওড়ার সঙ্গে যুক্ত কনসালট্যান্ট পেডিয়াট্রিশিয়ান এবং নিউনেটোলজিস্ট ডা. ইন্দু সুরানা।
আরও পড়ুন: প্রয়াত পরিচালক, হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন শেষ নিশ্বাস ত্যাগ প্রবীণের, শোকস্তব্ধ ইন্ডাস্ট্রি
পর্যাপ্ত ময়েশ্চারাইজেশন:
হাঁটা, চলা, হামাগুড়ি দেওয়া কিংবা গরম জলে স্নান করার মতো বিভিন্ন কারণে ত্বকের শুষ্কতা বাড়তে থাকে। ফলে তাদের দৈনন্দিন ত্বক পরিচর্যার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ময়েশ্চারাইজিং। কারণ এটা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ময়েশ্চারাইজার ঠান্ডা আবহাওয়ার ক্ষেত্রেও রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। তাই একটি ভরসাযোগ্য সংস্থার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, একটি পেলব, হালকা এবং দ্রুত শোষিত হয়, এমন ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে হবে। এখানেই শেষ নয়, ময়েশ্চারাইজারের উপকরণে মিল্ক প্রোটিন, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি৫, অ্যালোভেরা, গ্লিসারিন থাকলে তা শিশুদের ত্বকের জন্য ভাল। এই কারণে বাচ্চাদের ত্বকের জন্য বেবি লোশন এবং মুখের জন্য বেবি ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স (আইএপি) শিশুদের ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে একটি মান স্থির করেছে। সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক, হার্বাল এবং অর্গ্যানিক ইমোলিয়েন্ট সাবধানে ব্যবহার করতে হবে। তবে হ্যাঁ, শিশুদের লোশন কিংবা ক্রিমে যদি ময়েশ্চারাইজিং এজেন্ট হিসেবে ন্যাচারাল অলিভ অয়েল অথবা সরষের তেল উপস্থিত থাকে, তাহলে তা এড়িয়ে চলতে হবে। সেই সঙ্গে প্যারাবেন, সালফেট কিংবা রঞ্জকযুক্ত প্রোডাক্ট থেকেও বিরত থাকা আবশ্যক।
আরও পড়ুন: রাতারাতি ভোলবদল প্রকৃতির! প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা এই জেলায়, জানুন আবহাওয়ার আপডেট
স্নানের রুটিন:
আইএপি নির্দেশিকা অনুযায়ী, শীতের দিনে শিশুদের ত্বকের পর্যাপ্ত যত্নের প্রয়োজন রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল স্নানের সঠিক রুটিন মেনে চলা। হাইজিন বজায় রাখার জন্য সপ্তাহে ২-৩ বার তাদের স্নান করানো উচিত। স্নানের জন্য গরম জলের পরিবর্তে ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করা উচিত। শিশুদের ত্বক নরম রাখার জন্য মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহার করা আবশ্যক। স্নান এবং স্পঞ্জ করানোর পরে ত্বক পুরোপুরি শুষ্ক হয়ে যাওয়ার আগেই ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
পরিচ্ছন্ন ডায়াপার:
শীতের দিনে বাচ্চাদের প্রচুর জামাকাপড় পরানো হয়। ফলে বার বার ডায়াপার বদলানো সম্ভব হয় না। তবে এই সময় মাঝে মাঝেই ডায়াপার বদলাতে হবে। আর হালকা হাতে জায়গাটা পরিষ্কার করাও আবশ্যক। কারণ শিশুদের শরীরের ওই অংশটা বেশ সংবেদনশীল। তবে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে অ্যালকোহল ভিত্তিক ওয়াইপ ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ত্বকে প্রদাহ হতে পারে। নরম কাপড় অথবা তুলোর বল ঈষদুষ্ণ জলে ডুবিয়ে ওই অংশটা পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে। আর সব সময়ই যে ডায়াপার পরিয়ে রাখতে হবে, এমনটা কিন্তু নয়।