জানা গিয়েছে, ২০২০-র অক্টোবর থেকে ২০২১-এর এপ্রিল মাসের মধ্যে করোনা আক্রান্ত পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট নিয়ে বিশেষ সমীক্ষা চালান ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের একটি দল। পটনা, দিল্লি এবং মঙ্গলগিরি এইমসে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া ১৯ থেকে ৪৩ বছর বয়সি ৩০ জন পুরুষের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়।
আরও পড়ুন: দিল্লি কাণ্ডে নয়া মোড়, তরুণীর সঙ্গে ছিলেন এক বান্ধবীও! দুর্ঘটনার পরই উধাও
advertisement
প্রথম দফায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর পরই তাঁদের স্পার্ম কাউন্ট পরীক্ষা করেন বিশেষজ্ঞেরা। তারপরে,আড়াই মাস পরে ফের তাঁদের বীর্যের নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়। দ্বিতীয় দফায় দেখা যায়, বীর্যের গুণমান অনেকটাই কমে গিয়েছে। এর কিছুদিন পরে ফের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও, ফলাফল যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক হয়নি। এক্ষেত্রে, প্রজনন ক্ষমতা বিচার করার জন্য তিনটি বিষয়ের উপরে নজর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। প্রথমত, শুক্রাণুর সংখ্যা, দ্বিতীয়ত, শুক্রাণুর আকৃতি এবং তৃতীয়ত, শুক্রাণুর গতি।
সমীক্ষা শেষে পাওয়া রিপোর্ট
৩০ জন করোনা আক্রান্ত পুরুষের উপরে চালানো সেই সমীক্ষার ফলাফল সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে কিউরিয়াস জার্নাল অফ মেডিক্যাল নামক গবেষণাপত্রে। তাঁদের রিপোর্টে গবেষকেরা দাবি করেছেন, প্রথম নমুনা পরীক্ষায় ৩০ জনের মধ্যে ১২ জন অর্থাৎ, ৪০ শতাংশ পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা পর্যাপ্ত ছিল। ১০ সপ্তাহ পরে যখন দ্বিতীয় পরীক্ষা করা হয়, তখনও ৩ জন পুরুষের বীর্যের গুণমান দুর্বল পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: 'যদি ঢিল মারতেই হয়, উপযুক্ত জায়গায় গিয়ে মারুন', কোন দিকে ইঙ্গিত সুকান্তর? শুরু বিতর্ক
আশ্চর্যের বিষয় হল, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৩০ জন পুরুষের মধ্যে ২৬ জনের বীর্যের ঘনত্ব, ২৯ জনের শুক্রাণুর সংখ্যা এবং ২২ জনের শুক্রাণুর গতিবিধি প্রভাবিত হয়েছে। দ্বিতীয় দফার বিশ্লেষণকালে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার ১০ সপ্তাহ পরে ওই ৩০ জন পুরুষের কারও বীর্যের গুণমানই আগের জায়গায় ফিরতে পারেনি।
প্রজনন ক্ষমতার উপর প্রভাব
পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতার উপরে করোনা সংক্রমণের প্রভাব সম্পর্কে জানার জন্য বিশ্বের অনেক দেশেই গবেষণা করা হয়েছে। ভারতও সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েনি। করোনা সংক্রমণ সারা বিশ্বেই কম বেশি প্রভাব ফেলেছে। কোরিয়ার পুরুষ আক্রান্তদের মধ্যেও প্রজনন ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার উদাহরণ পাওয়া গিয়েছে।