সন্তানধারণের আগে কাউন্সেলিং:
সন্তান পরিকল্পনা চলাকালীনই সন্তানধারণ সংক্রান্ত কাউন্সেলিং করানো উচিত। এর ফলে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানের প্রসঙ্গে আলোচনা করার পাশাপাশি নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করিয়ে নেওয়া সম্ভব। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলে বিশেষজ্ঞরা প্রয়োজন হলে ওষুধ বদলে দিতে পারেন, কিংবা এমন ওষুধ দিতে পারেন, যা প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রে নিরাপদ।
advertisement
আরও পড়ুন: সাবধান! এই খাবার খেলেই ঝরবে চুল, হেয়ার ফল থেকে বাঁচতে মেনে চলুন এই নিয়ম
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ:
ডায়াবেটিস রোগিণীর সুস্থ প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকা আবশ্যক। ফলে সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করে সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত। আর গোটা প্রেগনেন্সির সফরে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধ নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যকর ডায়েট, নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে হবে।
এ১সি-র উপর নজরদারি:
এ১সি হল এক ধরনের রক্ত পরীক্ষা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী এই এ১সি-এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। সাধারণত সন্তানধারণের আগে কিংবা গোটা প্রেগনেন্সিতে এর নির্ধারিত মাত্রা হল ৬.৫-৭ শতাংশের নিচে। এটা নিয়ন্ত্রণে থাকলে প্রেগনেন্সিতে জটিলতার ঝুঁকি কমে।
ভাল হেলথকেয়ার টিম:
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং প্রেগনেন্সি- উভয়ের জন্যই একটা ভাল হেলথকেয়ার টিম রাখা উচিত। এই টিমের মধ্যে থাকবেন এক জন এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, ওবেস্টেট্রিশিয়ান, ডায়াবেটিস এডুকেটর এবং ডায়েটিশিয়ান। নিয়মিত তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ ও আলাপ-আলোচনা করতে হবে।
স্বাস্থ্যকর ডায়েট
ডায়াবেটিস এবং প্রেগনেন্সির জন্য স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ফল, শাকসবজি, হোল গ্রেনস, লিন প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের মতো পুষ্টিকর আহার করা বাধ্যতামূলক। এর পাশাপাশি কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমাতে হবে। এছাড়া সময় বেঁধে খাওয়ার অভ্যাস করাও আবশ্যক।
নিজের যত্ন এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
ডায়াবেটিস এবং প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রে শরীর ও মনের বিশেষ যত্ন নেওয়া বাধ্যতামূলক। নিজের যত্ন নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। মানসিক চাপ কাটাতে মেডিটেশন করা উচিত। সেই সঙ্গে কিছু হালকা শারীরিক কসরতও করতে হবে।