আমাদের দেশে বন্ধ্যাত্ব সংক্রান্ত অগণিত চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব দম্পতি স্বাভাবিক উপায়ে সন্তানধারণ করতে পারছেন না, তাঁরাই ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্টের বিকল্প বেছে নেন। বন্ধ্যাত্বের কারণ হিসেবে দায়ী হতে পারে ব্লকড ফ্যালোপিয়ান টিউব, গুরুতর এন্ডোমেট্রিওসিস, ওভারির রোগ, পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব-সহ জানা-অজানা বিভিন্ন সমস্যা। বয়সও একটা ফ্যাক্টর। কারণ বয়স বাড়লে ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্টের সাফল্য কমতে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানা যাচ্ছে যে, ভারতে প্রাথমিক বন্ধ্যাত্বের সামগ্রিক প্রবণতা ৩.৯ শতাংশ থেকে ১৬.৮ শতাংশ।
advertisement
আরও পড়ুন- মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে ছেড়েছিলেন ভাল চাকরি! আত্মবিশ্বাস ও নিষ্ঠার জোরে সফল হলেন যুবক
আবার বন্ধ্যাত্ব সংক্রান্ত সমস্যা শুধুমাত্র বড় শহরেই আটকে নেই। ছোট শহর কিংবা গ্রামীণ এলাকাতেও এর প্রবণতা বাড়ছে। সচেতনতা তো বাড়ছে। কিন্তু ভাল মানের ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্টের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। আসলে এই চিকিৎসার বিষয়টা শুধুমাত্র বড় শহরেই সীমাবদ্ধ। দেশের অধিকাংশ গ্রামীণ এলাকায় বিশ্বমানের ভাল চিকিৎসা ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়ার উপর জোর দিতে হবে। সামাজিক বিষয়টাও মাথায় রাখা জরুরি। সন্তানধারণে অক্ষমতার কারণে শুধুমাত্র মহিলাদের দায়ী করার বিষয়টা বন্ধ করতে হবে। পুরুষ বন্ধ্যাত্বের বিষয়টা নিয়েও পরামর্শ করতে হবে।
কলকাতার বিড়লা ফার্টিলিটি অ্যান্ড আইভিএফ সেন্টারের কনসালট্যান্ট ডা.স্বাতী মিশ্র বলেন যে, “ভারতে বন্ধ্যাত্ব সংক্রান্ত সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এই সংক্রান্ত যেসব চ্যালেঞ্জ আসে, সেগুলি কিন্তু উদ্বেগের কারণ। সমস্যার সমাধানের তুলনায় চ্যালেঞ্জগুলি আরও কঠিন। বহু পরীক্ষার পরেও বহু দম্পতির ক্ষেত্রে এই সমস্যার কারণ অজানাই থেকে যায়। দেরিতে বিয়ে, ব্যস্ত জীবনযাপন, ওবেসিটি, অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়া, ধূমপান, মদ্যপান, মাদকাসক্তি ইত্যাদি এর বড় কারণ। এর পাশাপাশি যৌনবাহিত সংক্রমণ, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম, ফাইব্রয়েড এবং জেনিটাল টিউবারকিউলোসিসও কিন্তু এই সমস্যার অন্যতম কারণ।”
তিনি আরও যোগ করেন, “তবে ভারতে আইভিএফ ট্রিটমেন্টের সাফল্যের হার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ফার্টিলিটির হার সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ কিছুটা হলেও কমেছে। এমনকী বিশ্বের বহু দম্পতিই আইভিএফ চিকিৎসার জন্য ভারতে আসছেন। আসলে এখানে অন্যান্য দেশের তুলনায় এই ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্টের সাফল্যের হার অনেকটাই বেশি। আবার আমাদের দেশে এর খরচও বেশ সাধ্যের মধ্যেই থাকে।”