সরস্বতী পুজোর সঙ্গে যেই নামটা খুবই পরিচিত তা হল কাশি কুল। ছোট্ট এই ফল এই পুজোয় বিশেষভাবে দেবীকে উৎসর্গ করা হয়। কাশি কুল বাজারে পাওয়া যায় পুজোর কয়েকদিন আগে থেকে। তবে চলতি বছরে বাজারে কাশি কুলের নামে অন্য ধরনের কুল চোখে পড়ছে প্রায় বেশির ভাগ ফলের দোকানে।
advertisement
কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারের একজন ফল বিক্রেতা প্রদীপ রায় জানান, “টক-মিষ্টি স্বাদের ছোট্ট এই ফল কাশি কুল প্রায় সবারই খুব প্রিয়। কাশি কুলের সঙ্গে সরস্বতী পুজোর একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সকাল থেকে উপোস করে অঞ্জলি দিয়ে তার পরেই প্রসাদে কুল, খাওয়ার রীতি বহুদিন ধরে। সরস্বতী পুজোর কয়েকদিন আগে থেকে এই কাশি কুল ফলের দোকানে পাওয়া যায়। তবে সারা বছর থাকে না। এই কুলগুলি দেখতে একটু লম্বা ধরনের হয়। খুব একটা বড় সাইজের হয় না। এই কুল বেশিরভাগ বাইরে থেকেই আসে জেলার বিভিন্ন ফলের দোকানে।”
কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারের আরোও একজন ফল বিক্রেতা বাপি সরকার জানান, “এই বছর এখনও কাশি কুল বাজারে আসতে শুরু করেনি। তবে বেশ কিছু দোকানে কাশি কুলের নামে অন্য ধরনের এক কুল ক্রেতারা কিনছেন। অনেকটা কাশি কুলের মতো দেখতে এই কুলের দাম কিছুটা কম কাশি কুলের চাইতে। এ বার কাশি কুলের দাম খুব একটা বাড়াবে না। কয়েকদিন অপেক্ষা করলে বাজারের বিভিন্ন ফলের দোকান থেকে সঠিক কাশি কুল কিনতে পারবেন ক্রেতারা। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি প্রতি দামে বিক্রি হবে বিভিন্ন দোকানে।” তাই ক্রেতারা অযথা দাম বাড়ার ভয়ে কাশি কুলের নামে অন্য কুল যাতে না কিনে ঠকে যান। এই বিষয়টি নিয়ে আরও বেশি সচেতন হতে বলা হয় হবে ক্রেতাদের।
Sarthak Pandit