স্তন ক্যানসারের একটি মূল উপসর্গ হল স্তন থেকে বাহুমূল পর্যন্ত অংশে কোনও রকম মাংসপিণ্ড তৈরি হওয়া। কিন্তু এছাড়াও অন্য উপসর্গও দেখা দিতে পারে। যেমন—
১। স্তনবৃন্ত থেকে রক্তের মতো স্রাব।
২। স্তনবৃন্ত ভিতর দিকে বসে যাওয়া, বৃন্তের চারপাশে খসখসে ত্বক, লালচে ভাব, রক্ত জমাটবাঁধা।
৩। বাহুমূলে ফোলা ভাব।
৪। ত্বকে পরিবর্তন
advertisement
৫। স্তনবৃন্তের কাছে ব্যথা বা আকার আকৃতিগত পরিবর্তন।
পরীক্ষা ও সচেতনতা—
২০-৩০ বছরের মধ্যে— সেল্ফ একজামিনেশন ও সচেতনতা প্রয়োজন
৩১-৪০ বছরের মধ্যে— ৬ মাসে একবার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো পরীক্ষা
৪১-৫৫ বছরের মধ্যে— বাৎসরিক ম্যামোগ্রাম
৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে— দু’বছরে একবার ম্যামোগ্রাম
আরও পড়ুন: দাঁতের সমস্যায় কাবু? প্রাকৃতিক উপায়ে প্রতিকারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ
মনে রাখতে হবে:—
১. অনেক কারণেই স্তনে লাম্প বা মাংসপিণ্ড তৈরি হতে পারে। বিশেষত অল্পবয়সি মেয়েদের ফাইব্রোসিস্টিক পরিবর্ত বা সিস্টের কারণে এমন হতে পারে, ব্যথাও হতে পারে। সবই কিন্তু ক্যানসার নয়।
২. মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে যাঁদের বংশগত ভাবে BRCA, PTEN, TP53 ইত্যাদি রয়েছে, তাঁদের ঝুঁকি বেশি। এঁদের সচেতন ভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
৩. হডকিনস ডিজিজ বা হাইপারপ্লাসিয়া বা লোবুলার কারসিনোমার মতো অসুখে কখনও রেডিয়েশনের প্রয়োজন হলেও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা প্রয়োজন।
৪. স্তনে লাম্প অনুভূত হওয়া মানেই ভয়ের নয়। বেশির ভাগ মহিলার ক্ষেত্রেই মাসিকের সময় বা সন্তান জন্মের পর এমনকী ওজনের তারতম্য হলে বা বয়স বাড়লে এমন মনে হতে পারে।
৫. ভারতে ৩৫-৫০ বছরের মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ছে। অনেকেই মনে করছেন IVF বা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির কারণে এই প্রবণতা বাড়তে পারে।
৬. শুধু মহিলা নন ১ শতাংশ পুরুষও স্তনের ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন।
৭. স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা নিরাময়যোগ্য। তবে সময় নষ্ট করা যাবে না।
৮. লিক্যুইড বায়োপ্সি, মলিকিউলার ইমেজিং, বায়োমার্কার-এর মতো পদ্ধতির সাহায্য চিকিৎসা আরও সহজ হয়েছে।p
৯. জিন টেস্টিং-এর মধ্যে দিয়ে বোঝা যেতে পারে আক্রান্তকে কেমোথেরাপি দেওয়া হবে না কি হরমোন থেরাপি।
১০. খুব প্রয়োজন না হলে আজকাল আর স্তন বাদ দেওয়া হয় না। এতে সুস্থ হয়ে ওঠার পরে আক্রান্তের মনে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।
১১. নতুন প্রজন্মের অ্যান্টিবডি ড্রাগ এবং ইমিউনোথেরাপি খুব ভাল কাজ করছে- এমনকী জটিল রোগের ক্ষেত্রেও।