আমরা সাধারণত যে সাদা চাল খাই, তার তুলনায় ব্রাউন রাইস (Brown Rice) অনেক কম পলিশড৷ ফলে এর পুষ্টিগুণ ধরা থাকে অনেক বেশি৷ গ্রাম বাংলায় যে ঢেকিছাঁটা চাল, তার সঙ্গে দিব্যি তুলনা করা যায় এর, অন্তত খাদ্যগুণের দিক থেকে৷ এই চালে আছে খাদ্যতন্তু, প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ফ্ল্যাভোনয়েড, প্রোটিন ও ফ্যাটি অ্যাসিড৷
advertisement
আরও পড়ুন : নামমাত্র খরচে অন্দরসজ্জা ও দূষণমুক্তি, ঘরে রাখুন অ্যারালিয়া
মধুমেহ নিয়্ন্ত্রণে এই চাল উপযোগী৷ কারণ এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম৷ অর্থাৎ এই খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয়৷ ফলে রক্তে চিনির মাত্রা রকেটের গতিতে বাড়ে না৷ গবেষণা বলছে, দিনে তিন বার ব্রাউন রাইস খেলেও টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা কমে অন্তত ৩২ শতাংশ অবধি৷ তাছাড়া এই চালের ফাইটিক অ্যাসিড, ফাইবার এবং পলিফেনল শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে৷
আরও পড়ুন : ঘরোয়া উপকরণে সহজ উপায়ে বাড়িতেই তৈরি করুন ভেষজ লিপবাম
ওজন কমানোর জন্য যাঁরা ডায়েটিং করছেন, তাঁরাও ব্রাউন রাইস খেতে শুরু করুন৷ ফাইবার বেশি থাকায় এই খাবারে ক্যালরির অংশ খুব কম৷ সাদা চালের বদলে ব্রাউন রাইস খেলে তলপেটের মেদও দ্রুত কমে যায়৷
আরও পড়ুন : কী দিয়ে ধোবেন? মুছবেনই বা কী দিয়ে? জেনে নিন আপনার চশমাকে ভাল রাখার খুঁটিনাটি
ব্রাউন রাইসে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব কম৷ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা কমিয়ে দেয় ব্রাউন রাইস৷ পাশাপাশি, কোলাইটিস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যাও দূর হয় এই দানাশস্যে৷ ভাল থাকে পরিপাক ক্রিয়াও৷
সন্তান প্রসব করার পর শারীরিক ও মানসিক একাধিক সমস্যা কমিয়ে দেয় ব্রাউন রাইস৷ নিয়ন্ত্রণে রাখে স্নায়বিক সমস্যাও৷ ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামে ভরা ব্রাউন রাইস মজবুত করে হাড়ের স্বাস্থ্য৷ আর্থ্রাইটিস ও অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যায় উপশম এনে দেয় ব্রাউন রাইস৷