উপকারিতা
ডিম নিজেই একটি সম্পূর্ণ খাবার এবং এটি শীতকালের জন্য উচ্চ মানের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার। ডিম প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ক্যালসিয়াম, মাল্টিভিটামিন ও খনিজ পদার্থে ভরপুর। একজন ব্যক্তির সামগ্রিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ডিম। ভাতে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট ব্যতীত, ডিম হাড়ের বিকাশ এবং ক্যালসিয়াম শোষণের মতো অসংখ্য সুবিধা দেয়। মাত্র ১ বাটি ডিমের কারিতে প্রায় ২৫৬ ক্যালোরি রয়েছে।
advertisement
কী ভাবে রান্না করা যায় ডিম?
একটি ডিম রান্না করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হল ডিম সেদ্ধ করা। এছাড়াও হাফ-ফ্রাই, ভাজা, পোচ, স্ক্র্যাম্বলড, অমলেট এবং ফ্রিটাটাস, বেকড এবং কারি হিসাবেও ডিম খাওয়া যায়। একেক ভাবে ডিম রান্না করলে তার স্বাদ একেক রকম হয় কিন্তু সবচেয়ে সুস্বাদু হল ডিমের কারি।
ডিমের কারি আসলে কী?
এটি একটি জনপ্রিয় ডিমের পদ, যা টমেটো, পেঁয়াজ এবং গোটা মশলা দিয়ে ডিমের কারি রান্না হয়। এই সুস্বাদু পদ ভাত ছাড়াও রুটি ও পরোটা দিয়ে উপভোগ করা যায়।
কী কী উপাদান লাগে?
৪টি ডিম, দেড় চা চামচ গোটা জিরে, ২টি কালো এলাচ, দেড় চা চামচ গ্রেট করা আদা, আধ কাপ কাটা টম্যাটো, ১ টেবিল চামচ ধনে গুঁড়ো, ২ চিমটি হিং, ১ চা চামচ হলুদ, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, হাফ কাপ কাপ সরষের তেল, ৪টি লবঙ্গ, দেড় কাপ মিহি করে কাটা পেঁয়াজ, ২ চা চামচ কাটা রসুন, ৪-৫ কাটা সবুজ মরিচ, ১/৪ কাপ টম্যাটো পিউরি, আড়াই চা চামচ কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, ১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো , ২ টেবিল চামচ কসুরি মেথি, ২ টেবিল চামচ ধনেপাতা, স্বাদমতো নুন এবং প্রয়োজন মতো জল।
আরও পড়ুন - স্নায়ুরোগ থেকে রক্ত চলাচলে সাহায্য! ডায়েটে কাঁচালঙ্কা থাকলে একগুচ্ছ সমস্যার সমাধান
প্রণালী
প্রেসার কুকারে ডিম সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। ডিম ভেজে নিতে হবে। এবার একই তেলে হিং-সহ জিরে দিয়ে কষে কড়াইতে কালো এলাচের সঙ্গে লবঙ্গ দিয়ে কয়েক সেকেন্ড রান্না করতে হবে। এর পর পেঁয়াজের সঙ্গে আদা-রসুন, পেঁয়াজ, টম্যাটো, কাঁচা লঙ্কা এবং টম্যাটো পিউরি দিতে হবে। ২ মিনিট রান্না করে নুন, হলুদ, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো এবং সামান্য গরম মশলা গুঁড়ো দিতে হবে। কম আঁচে ৭-৮ মিনিট রান্না করে প্রয়োজন অনুযায়ী জল দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে এতে ভাজা ডিম দিতে হবে। রান্না হয়ে গেলে তাতে লেবুর রস এবং বাকি গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে কিছু কসুরি মেথি ও ধনে পাতা ছড়িয়ে দিতে হবে।