ঘণ্টাঘরের বিষয়ে লিখিত কোনও ইতিহাস না থাকলেও নবাব পরিবার সূত্রে জানা যায়, উনবিংশ শতকের প্রথম দিকে অর্থাৎ ১৮১০ বা তার কয়েক বছরের মধ্যেই এই ঘণ্টাঘর নির্মাণ করা হয়েছিল নবাব আলিজার আমলে। ঘন্টাঘর তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল সৈন্যদের সতর্কীকরণ ও সময় জানানো। অবশেষে মুর্শিদাবাদ পুরসভার উদ্যোগে ঘণ্টাঘর নতুন করে সংরক্ষণ করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে, যা উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
আরও পড়ুন : চতুর্থ শ্রেণী পাশ বাবা কাপড়ের ফেরিওয়ালা, অনটনকে হারিয়ে ছেলে আইএএস অফিসার!
নবাব পরিবার সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দক্ষিণ দরজার সামনে যেখানে সিরাজউদ্দৌলা পার্ক রয়েছে সেখানেই নবাব জাইন-উদ্দিন-আলি খান বা নবাব আলিজার প্রাসাদ ছিল। সেই প্রাসাদ সহ সমগ্র কেল্লা চত্বরের প্রবেশদ্বার ছিল এই দক্ষিণ দরজা। দক্ষিণ দরজা লাগোয়া ঘণ্টাঘরের পাশে সৈন্য ক্যাম্প আজও বর্তমান, যদিও বর্তমানে সেখানে সাধারণ মানুষের বসবাস শুরু হয়েছে। সেই সৈন্য ক্যাম্পের পাশেই কেল্লা চত্বরের প্রবেশদ্বার অর্থাৎ দক্ষিণ দরজার সম্মুখে তৈরি করা হয় একটি ঘণ্টাঘর। নির্দিষ্ট কিছু সময়ে সৈন্যদের সতর্ক করা বা সময় জানানোর জন্য সেই ঘণ্টা বাজানো হত। ঘণ্টার আওয়াজ শুনে সময় জানতে পারতেন আশেপাশের এলাকার সাধারণ মানুষও।
নবাব আলিজার প্রাসাদ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বহুকাল আগেই। তার সেনা ক্যাম্প বর্তমানে সাধারণ মানুষের দখলে। তবে অটোমেটিক মেশিনের সাহায্যে প্রতি ঘন্টায় বাজে ঘন্টা। কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই ঘণ্টাঘর রক্ষণাবেক্ষণ করে পর্যটকদের কাছে নতুন আকর্ষণ গড়ে তোলা হয়েছে। এ বার দোলের ছুটিতে মুর্শিদাবাদে এলে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই ঘণ্টাঘর।