কয়েক বছর আগেও কালীপুজো ও শ্যামাপোকা ছিল সমার্থক৷ নামকরণেও সেই ধারা স্পষ্ট৷ কিন্তু বছরের এই নির্দিষ্ট সময়েই কেন ফড়িং শ্রেণীর এই পতঙ্গকে বেশি দেখা যায়?
আরও পড়ুন :সদ্য মা হওয়ার পর প্রচুর চুল পড়ে যাচ্ছে? রইল মুক্তির উপায়
আসলে, বছরের এই হাল্কা শীত অথচ বৃষ্টি না হওয়া সময়টাই তাদের বংশবৃদ্ধির ঋতু৷ ধানের শিষ থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সংগ্রহ করে তারা৷ ফলে বছরের হেমন্ত ঋতুতেই তাদের দলে দলে দেখা যায়৷ দিনের বেলা লুকিয়ে থাকলেও রাতে তাদের দেখা যায় আলোর কাছে৷ সেটা রাস্তার আলোও হতে পারে৷ আবার ঘরের টিউবলাইটও হতে পারে৷
advertisement
বড় বিপদের কারণ না হলেও শ্যামাপোকা অস্বস্তি ও বিরক্তির উৎস৷ এই পতঙ্গদের তাড়ানোর জন্যও আছে কিছু ঘরোয়া টোটকা ৷ অযথা কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রয়োগ করুন সেগুলিই৷
আরও পড়ুন : রুক্ষতা, সর্দিকাশিকে দূরে রেখে শীতকালকে চুটিয়ে উপভোগ করতে খেতেই হবে এই খাবারগুলি
ঘরের দেওয়ালে বা অন্যত্র যেখানে আলো আছে, সেখানে সেখানে ছড়িয়ে দিন ইউক্যালপিটাস অয়েল এবং লেমন এসেনশিয়াল অয়েল৷ দ্বিতীয় উপকরণ না পেলে পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন লেবুর রসও৷ এই মিশ্রণ স্প্রে করে দিন আলোর চারপাশে৷ কমে যাবে শ্যামাপোকার উপদ্রব৷
আরও পড়ুন : পোস্টার, ফুলদানি, ইন্ডোর প্ল্যান্টে সাজিয়ে তুলুন রান্নাঘরকে, একঘেয়ে চেহারায় আসুক নতুনত্ব
শ্যামাপোকা দূর করতে কার্যকর টি ট্রি অয়েলও৷ এক পেয়ালা জলে মেশান দু’ চামচ টি ট্রি তেল৷ তার পর সেটি স্প্রে করুন আলোর চারদিকে৷ এই গন্ধও সহ্য করতে পারে না শ্যামাপোকারা৷ জলের সঙ্গে ল্যাভেন্ডার তেলের মিশ্রণও শ্যামাপোকা তাড়াতে উপযোগী৷
বছরের অন্য সময় সাধারণত গাছের পাতাকেই আশ্রয় করে থাকে শ্যামাপোকা৷ বিপন্ন বাস্তুতন্ত্রে আজ শহরাঞ্চলে শ্যামাপোকা কমে গিয়েছে অনেকটাই৷ কলকাতার চারপাশে ঘাসজমি কম যাওয়ায়ও শ্যামাপোকার অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ৷ কিন্তু মফস্বল বা গ্রামে এখনও তাদের দেখা যায়৷ বিরক্তির সঙ্গে তারা ফিরিয়ে আনে ছোটবেলার এক টুকরো স্মৃতিও৷