যদি আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার চেয়ে খারাপ ব্যাকটেরিয়া বেশি থাকে তাহলে শরীরে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হতে পারে যা থেকে আমাদের বিভিন্ন ধরনের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সামগ্রিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য আমাদের অন্ত্রের খেয়াল রাখা জরুরি৷
আরও পড়ুন : Tomato Price Hike: দাম বেড়ে যাওয়ায় হেঁশেলে টান? টম্যাটোর বদলে এই কয়েকটি জিনিসেও ফিরতে পারে রান্নার স্বাদ!
advertisement
আমাদের অন্ত্রের কোনও সমস্যা আছে কি না তা কিছু লক্ষণই চিহ্নিত করে। আয়ুর্বেদের মতে, আমরা সব কিছুই খেতে পারি, যদি না আমাদের কারও পেটের সমস্যা বা অগ্নি সমস্যা থাকে। কারণ পরিপাকতন্ত্রে গোলযোগ থাকলে খাবার হজম হবে না। আবারসঠিকভাবে হজম না করলে আমরা কোনও খাবারের সুফল পাব না।
আরও পড়ুন: India's First Selfie: ভারতের প্রথম সেলফি কোনটা জানেন ? অবাক হবেন জানলে !
সুতরাং, শরীরের কোনও অসুস্থতা বা ভারসাম্যহীনতা নিরাময়ের জন্য, তাড়াহুড়ো করে তথাকথিত স্বাস্থ্যকর এবং সুপারফুড খাওয়ার আগে আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের বিষয়ে ভাবা উচিত। কারণ আয়ুর্বেদের মতে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো না থাকাই সমস্ত অসুখের মূল কারণ; তাই শরীরের ভারসাম্যএবং রোগ নিরাময়ের জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে।
অস্বাস্থ্যকর অন্ত্রের উপসর্গ
এনোরক্সিয়া/খিদে কমে যাওয়া, পেট ফুলে থাকা, পেটে ভারী ভাব- বিশেষ করে খাওয়ার পরে, দাঁতে ময়লার আস্তরণ বা নিঃশ্বাসে দুগর্ন্ধ, কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাতলা মল. বদহজম, ব্রণ, দুশ্চিতা ও মানসিক চাপ, অনিদ্রা, মস্তিষ্কে ধোয়াঁশা, খারাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে যাওয়া) ক্লান্তিভাব ইত্যাদি ৷
আয়ুর্বেদ অনুসারে, উপরে উল্লিখিত একটি বা একাধিক কোনও লক্ষণ কারও থাকলে তার অন্ত্রের অবস্থা ভালো নয় বা খারাপ মেটাবলিজম আছে বলে মনে করা হয়। তাই সেক্ষেত্রে এই ধরনের কোনও লক্ষণ বুঝতে পারলে প্রথমেই সতর্ক হওয়া উচিত। নচেৎ দেরি হয়ে গেলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে।