সামগ্রিক সুস্থতার জন্য যৌনাঙ্গের সমস্যা সম্পর্কে সচেতন থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। এটা মানসিক এবং শারীরিক সমস্যার মতোই সাধারণ। এই নিয়ে দ্বিধা বা বিভ্রান্তির কোনও জায়গা নেই। এখানে যোনি সংক্রান্ত সমস্যাগুলির একটি তালিকা দেওয়া হল। এই সমস্যা হলে কখনওই হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়।
প্রস্রাবের সময় জ্বালা: এটা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের স্পষ্ট লক্ষণ। এতে বার বার প্রস্রাব পায়। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রস্রাব হয় না। পেট ফুলে থাকে। প্রস্রাবের সময় যৌনাঙ্গে জ্বালা করে। এমনটা হলে পরীক্ষা এবং ওষুধের জন্য চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে। অন্য দিকে, মেনোপজ পরবর্তী সময়ে হরমোনের তারতম্যের কারণে প্রস্রাব পথ সংকুচিত হয়ে যেতে পারে। তখনও এমনটা হয়। তাই এই লক্ষণগুলো থাকলে সতর্ক হতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- গত ৩০ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা! হড়পা বানে পাকিস্তানে মৃত ৫৫০ মানুষ
অস্বাভাবিক যোনি স্রাব: ঘন হলুদ বা সবুজ রঙের স্রাব হলে অবিলম্বে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের একটা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি অন্তর্বাসে সবুজ স্রাব এবং অস্বাভাবিক গন্ধ থাকে তাহলে সেটা সংক্রমণ বা যৌন রোগের লক্ষণ হতে পারে।
পিরিয়ড ছাড়া রক্তপাত: পিরিয়ড ছাড়া অন্য সময়ে যদি যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত বের হয় তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। সহবাসের পর, প্রস্রাবের সময় রক্ত বেরলে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। এর সঙ্গে যদি পেলভিস ফ্লোরে ব্যথা হয় তাহলে সেটা ক্ল্যামাইডিয়ার লক্ষণ। সার্ভিক্সে পলিপের কারণেও এমনটা হতে পারে। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।
আরও পড়ুন- ‘সিদ্ধান্ত জানান’, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে শিশির-দিব্যেন্দুকে চিঠি তৃণমূলের
প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণে সমস্যা: ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে ‘ইনকন্টিনেন্স’। মায়ো ক্লিনিকের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, হাঁচি বা কাশি হলে অনেক সময় প্রস্রাব হয়ে যায়। আচমকা এমন বেগ চলে আসে বাথরুমে যাওয়ারও সময় পাওয়া যায় না। এটা নিয়ে খুব চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কয়েকটা ওষুধেই সেরে যায়। অনেক সময় চিকিৎসক পেলভিকের কিছু ব্যায়াম করার পরামর্শও দেন।
যোনির ভিতর বা বাইরে চুলকানি: একটি হেলথলাইন রিপোর্ট বলছে, সাবান, ক্রিম, সুগন্ধযুক্ত টয়লেট পেপার, স্প্রে এবং বাবল বাথের কারণে এমন চুলকানি হওয়া স্বাভাবিক। এ থেকে নিরাময় পেতে জ্বালা হয় এমন পণ্য ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এরপরও যোনির ভিতরে চুলকানি অব্যাহত থাকলে সেটা ব্যাকটেরিয়া ভ্যাজিনোসিস, চর্মরোগ, সংক্রমণ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং যৌন সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। এ জন্য বিশেষজ্ঞ গাইনোকলজিস্টকে দেখিয়ে নেওয়া উচিত।
ভ্যাজাইনাল বাম্পস: সিস্ট বা সংক্রমিত চুলের ফলিকলের কারণে এমনটা হতে পারে। এগুলো ক্ষতিকারক নয়। তবে যদি ব্যথা থাকে তাহলে অবশ্যই স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। অনেক সময় এটা যৌন রোগের লক্ষণও হতে পারে।
