ছাপরা, বিহার: পড়শি রাজ্য বিহারের ছাপরায় এমন বহু কৃষক রয়েছেন, যাঁরা নিজেদের অভিনব আইডিয়ার মাধ্যমে কৃষিকাজ এবং উদ্যানপালন করছেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁরা কৃষিকাজে দক্ষতাও লাভ করেছেন। ছাপরা জেলার দিঘওয়ারা ব্লকের অধীনে থাকা আমি গ্রামের বাসিন্দা নরেন্দ্র সিং। তিনি ফুল চাষ করেন। শুধু তা-ই নয়, এর পাশাপাশি গাছপালা রোপণ কিংবা ভেষজ পালনে তিনি দক্ষতা লাভ করেছেন। কৃষক নরেন্দ্র সিংয়ের কাছে দেখতে পাওয়া যাবে মূল্যবান ভেষজ, ফল এবং ফুল। কয়েক হাজার প্রজাতির ফুলের গাছ রোপণ করেছেন তিনি।
advertisement
শুধু তা-ই নয়, নিজের উদ্যানে কৃষক নরেন্দ্র সিং গরম মশলা এবং চেরি গাছের মতো মূল্যবান গাছও রোপণ করেছেন। যদি এই গরম মশলা গাছের দুটি পাতা রান্নার সময় কোনও তরকারিতে যোগ করা হয়, তাহলে এর স্বাদ কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। সেই শৈশবকাল থেকেই তাঁর মধ্যে ফুল, ফল-সহ বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপণের প্রতি ঝোঁক ছিল। নরেন্দ্র সিংয়ের বাড়িতে এত রকমের ফুলের গাছ রয়েছে, যা বাইরের কোনও উদ্যানে পাওয়া যাবে না। পটনা, সিওয়ান, গোপালগঞ্জ-সহ বিহারের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শয়ে শয়ে মানুষ ওই কৃষকের বাগান দেখতে আসেন।
Local 18-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন কৃষক নরেন্দ্র সিং। তিনি নিজেই জানালেন যে, ছোটবেলা থেকে গাছ আর ফুল রোপণ করতে ভীষণই ভালবাসতেন তিনি। নিজের বাগানেই তিনি বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ লাগিয়েছেন। তাঁর রোপণ করা গাছের তালিকায় রয়েছে মূল্যবান কিছু গাছও। এর মধ্যে অন্যতম হল গরম মশলা এবং চেরি।
কৃষক নরেন্দ্র সিংয়ের কথায়, “কিছু কিছু সময়ে আমরা এই সমস্ত গাছের পাতা কিংবা ভেষজ নিজেদের রান্নাঘরে খাবার তৈরির কাজে ব্যবহার করি।” এর পাশাপাশি তিনি নিজের বাগানে মূল্যবান কিছু আয়ুর্বেদ গুণসম্পন্ন গাছ বা ভেষজও রোপণ করেছেন।
নরেন্দ্র আরও বলেন যে, পটনা-সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলা থেকে প্রচুর মানুষ তাঁর বাড়ির বাগানটি চাক্ষুষ করতে আসেন। আর এটাই তাঁকে প্রচুর আনন্দ দেয়। তিনি বলে চলেন যে, প্রচুর ফল, সবজি এবং আয়ুর্বেদিক গাছ তিনি রোপণ করেছেন। যার মূল্য অত্যন্ত বেশি। তিনি বিশ্বাস করেন যে, বেশি পরিমাণে এই ধরনের গাছ রোপণ করলে কৃষকরা আয়ের ভাল উৎস লাভ করতে পারেন।