Cockroaches: রান্নাঘরের আনাচেকানাচে কি আরশোলার আনাগোনা হয়েছে? উপদ্রবের হাত থেকে বাঁচতে মেনে চলুন বিশেষজ্ঞদের দেওয়া এই সমস্ত টিপস

Last Updated:
Cockroaches In Your Kitchen: আরশোলারা সাধারণত অন্ধকার, ভিজে-স্যাঁতস্যাঁতে এবং উষ্ণ জায়গায় বসবাস করতে পারে। সেখানেই সহজে রসদ খুঁজে পায় তারা। বাড়িতে সিলিন্ডারের নীচে, বেসিনের তলায় এবং ফ্রিজের পিছনে আরশোলা বেশি দেখা যায়। সেই কারণে এই সমস্ত জায়গাতেই আরশোলা মারার জন্য কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। তবে কোনও পরিস্থিতিতেই আরশোলাদের স্পর্শ করা উচিত নয়।
1/7
বাড়িতে অনেক সময় আরশোলার আনাগোনা দেখা যায়। সাধারণত রান্নাঘর, বাড়ির ড্রেনেজের জায়গা এবং বদ্ধ ঘরেই সাধারণত বাসা বাঁধে আরশোলা। যদিও আরশোলার কারণে বাড়ে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও। যার জেরে বিপজ্জনক রোগ হতে পারে। তাই আরশোলা দেখামাত্র সঙ্গে সঙ্গে তা মেরে ফেলতে চায় মানুষ। (Representative AI Image)
বাড়িতে অনেক সময় আরশোলার আনাগোনা দেখা যায়। সাধারণত রান্নাঘর, বাড়ির ড্রেনেজের জায়গা এবং বদ্ধ ঘরেই সাধারণত বাসা বাঁধে আরশোলা। যদিও আরশোলার কারণে বাড়ে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও। যার জেরে বিপজ্জনক রোগ হতে পারে। তাই আরশোলা দেখামাত্র সঙ্গে সঙ্গে তা মেরে ফেলতে চায় মানুষ। (Representative AI Image)
advertisement
2/7
তবে এতে যথেষ্ট ঝুঁকির বিষয় রয়েছে। আসলে আরশোলাকে তাড়া করে তারপর মারতে বেশ কসরতেরও প্রয়োজন হয়। তার বদলে ইন্ডিয়া পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানির দীপক শর্মা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, আরশোলার উৎপাতের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে এর কারণও ব্যাখ্যা করলেন তিনি।
তবে এতে যথেষ্ট ঝুঁকির বিষয় রয়েছে। আসলে আরশোলাকে তাড়া করে তারপর মারতে বেশ কসরতেরও প্রয়োজন হয়। তার বদলে ইন্ডিয়া পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানির দীপক শর্মা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, আরশোলার উৎপাতের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে এর কারণও ব্যাখ্যা করলেন তিনি।
advertisement
3/7
আরশোলা আসলে নানাবিধ প্যাথোজেনের বাহক। এর মধ্যে রয়েছে ই. কোলাই এবং সালমোনেল্লার মতো ব্যাকটেরিয়াও। যদি কেউ নিজের পা দিয়ে আরশোলা মারেন, তাহলে আরশোলার দেহে থাকা প্যাথোজেন সেই ব্যক্তির দেহের সংস্পর্শে চলে আসে। আর এটাই ব্যাকটেরিয়া দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এদিকে মরে পড়ে থাকা আরশোলা অনেক সময় পিঁপড়ে কিংবা অন্যান্য পোকামাকড় খেয়ে ফেলে। (Representative AI Image)
আরশোলা আসলে নানাবিধ প্যাথোজেনের বাহক। এর মধ্যে রয়েছে ই. কোলাই এবং সালমোনেল্লার মতো ব্যাকটেরিয়াও। যদি কেউ নিজের পা দিয়ে আরশোলা মারেন, তাহলে আরশোলার দেহে থাকা প্যাথোজেন সেই ব্যক্তির দেহের সংস্পর্শে চলে আসে। আর এটাই ব্যাকটেরিয়া দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এদিকে মরে পড়ে থাকা আরশোলা অনেক সময় পিঁপড়ে কিংবা অন্যান্য পোকামাকড় খেয়ে ফেলে। (Representative AI Image)
advertisement
4/7
আর সেই পিঁপড়ে কিংবা পোকামাকড়ও এভাবে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে, পা দিয়ে চেপে আরশোলা মারা হলে তা থেকে দুর্গন্ধ বার হয়। তাই থেঁতলে আরশোলা মারা উচিত নয়। কিছু মানুষ আবার বলেন যে, পা দিয়ে থেঁতলে আরশোলা মারা হলে এর দেহের সঙ্গে লেগে থাকা ডিম ছড়িয়ে যায়। যা আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। দীপক বলেন, এটা একেবারেই সত্য নয়। কারণ আরশোলা সাধারণত একটি সুরক্ষিত আবরণের মধ্যে নিজেদের ডিম সংরক্ষণ করে রাখে। যাকে ootheca বলা হয়। Representative Image
আর সেই পিঁপড়ে কিংবা পোকামাকড়ও এভাবে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে, পা দিয়ে চেপে আরশোলা মারা হলে তা থেকে দুর্গন্ধ বার হয়। তাই থেঁতলে আরশোলা মারা উচিত নয়। কিছু মানুষ আবার বলেন যে, পা দিয়ে থেঁতলে আরশোলা মারা হলে এর দেহের সঙ্গে লেগে থাকা ডিম ছড়িয়ে যায়। যা আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। দীপক বলেন, এটা একেবারেই সত্য নয়। কারণ আরশোলা সাধারণত একটি সুরক্ষিত আবরণের মধ্যে নিজেদের ডিম সংরক্ষণ করে রাখে। যাকে ootheca বলা হয়। Representative Image
advertisement
5/7
প্রত্যেকটি গুটির মধ্যে ৫০টি পর্যন্ত ডিম থাকে। স্ত্রী আরশোলারা নিরাপদে একটি সুরক্ষিত জায়গায় ডিম সংরক্ষণ করে রাখে। যদি কেউ এমন কোনও আরশোলাকে পায়ে থেঁতলে মারে, যেটি ডিম পাড়েনি, তাহলে ডিমগুলি তার শরীর থেকে বেরিয়ে আসবে এবং ক্ষত সৃষ্টি করবে। তবে শরীর থেকে বেরিয়ে আসা সেই ডিম থেকে বাচ্চা বার হওয়া অসম্ভব। Representative Image
প্রত্যেকটি গুটির মধ্যে ৫০টি পর্যন্ত ডিম থাকে। স্ত্রী আরশোলারা নিরাপদে একটি সুরক্ষিত জায়গায় ডিম সংরক্ষণ করে রাখে। যদি কেউ এমন কোনও আরশোলাকে পায়ে থেঁতলে মারে, যেটি ডিম পাড়েনি, তাহলে ডিমগুলি তার শরীর থেকে বেরিয়ে আসবে এবং ক্ষত সৃষ্টি করবে। তবে শরীর থেকে বেরিয়ে আসা সেই ডিম থেকে বাচ্চা বার হওয়া অসম্ভব। Representative Image
advertisement
6/7
আরশোলারা সাধারণত অন্ধকার, ভিজে-স্যাঁতস্যাঁতে এবং উষ্ণ জায়গায় বসবাস করতে পারে। সেখানেই সহজে রসদ খুঁজে পায় তারা। বাড়িতে সিলিন্ডারের নীচে, বেসিনের তলায় এবং ফ্রিজের পিছনে আরশোলা বেশি দেখা যায়। সেই কারণে এই সমস্ত জায়গাতেই আরশোলা মারার জন্য কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। তবে কোনও পরিস্থিতিতেই আরশোলাদের স্পর্শ করা উচিত নয়। কিংবা তাতে পা দেওয়া ঠিক নয়। তাহলে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যাবে। তাই আরশোলার উপদ্রব কমানোর জন্য বাড়ি এবং তার আশপাশের এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। রাসায়নিক কীটনাশকের তুলনায় কয়েক ধরনের প্রাকৃতিক রিপেলেন্ট ব্যবহার করা উচিত। Representative Image
আরশোলারা সাধারণত অন্ধকার, ভিজে-স্যাঁতস্যাঁতে এবং উষ্ণ জায়গায় বসবাস করতে পারে। সেখানেই সহজে রসদ খুঁজে পায় তারা। বাড়িতে সিলিন্ডারের নীচে, বেসিনের তলায় এবং ফ্রিজের পিছনে আরশোলা বেশি দেখা যায়। সেই কারণে এই সমস্ত জায়গাতেই আরশোলা মারার জন্য কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। তবে কোনও পরিস্থিতিতেই আরশোলাদের স্পর্শ করা উচিত নয়। কিংবা তাতে পা দেওয়া ঠিক নয়। তাহলে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যাবে। তাই আরশোলার উপদ্রব কমানোর জন্য বাড়ি এবং তার আশপাশের এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। রাসায়নিক কীটনাশকের তুলনায় কয়েক ধরনের প্রাকৃতিক রিপেলেন্ট ব্যবহার করা উচিত। Representative Image
advertisement
7/7
জনপ্রিয় শ্যেফ অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই টিপস ভাগ করে নিয়েছেন। এগুলির কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। রান্নাঘরের কোণায় কোণায় এবং অন্ধকার জায়গায় তেজপাতা রেখে দিতে হবে। কারণ এর গন্ধ সহ্য করতে পারে না আরশোলা। একই ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে লবঙ্গ, দারচিনি এবং নিম পাতাও। এর পাশাপাশি বোরিক অ্যাসিড পাউডার চিনির সঙ্গে মিশিয়ে রান্নাঘরে রেখে দেওয়া যেতে পারে। আর বোরিক পাউডার খেলে সঙ্গে সঙ্গে আরশোলার মৃত্যু হয়। তবে এগুলি আমাদের খাদ্যসামগ্রীর থেকে দূরে রাখতে হবে। জলে নিম তেল মিশিয়ে আরশোলা উপদ্রুত জায়গায় স্প্রে করতে হবে। এতে আরশোলা আর ফিরে আসবে না। Representative Image
জনপ্রিয় শ্যেফ অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই টিপস ভাগ করে নিয়েছেন। এগুলির কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। রান্নাঘরের কোণায় কোণায় এবং অন্ধকার জায়গায় তেজপাতা রেখে দিতে হবে। কারণ এর গন্ধ সহ্য করতে পারে না আরশোলা। একই ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে লবঙ্গ, দারচিনি এবং নিম পাতাও। এর পাশাপাশি বোরিক অ্যাসিড পাউডার চিনির সঙ্গে মিশিয়ে রান্নাঘরে রেখে দেওয়া যেতে পারে। আর বোরিক পাউডার খেলে সঙ্গে সঙ্গে আরশোলার মৃত্যু হয়। তবে এগুলি আমাদের খাদ্যসামগ্রীর থেকে দূরে রাখতে হবে। জলে নিম তেল মিশিয়ে আরশোলা উপদ্রুত জায়গায় স্প্রে করতে হবে। এতে আরশোলা আর ফিরে আসবে না। Representative Image
advertisement
advertisement
advertisement