ওয়াটার পিউরিফায়ারের (RO) জল আপনাকে ফেলতে পারে ক্লান্তি এবং জয়েন্টের ব্যথায় ! খাওয়ার আগে জলের শুদ্ধতা পরখ করুন এই ভাবে
- Published by:Siddhartha Sarkar
- local18
Last Updated:
উত্তর প্রদেশের বালিয়ার শ্রী মুরলী মনোহর টাউন স্নাতকোত্তর কলেজের বিজ্ঞান ও কৃষি রসায়ন বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক অশোক কুমার সিং Local18-কে এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পানীয় জল একটি খুব বড় সমস্যা। পানীয় জলের জন্য অনেক মানদণ্ড এবং বিভিন্ন প্যারামিটার যুক্ত রয়েছে। আজকাল গ্রীষ্মকাল, এই সময়ে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর লবণ বেরিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বার বার জল পান করার ইচ্ছা জাগে।’’
Reported by-Sanandan Upadhyay: একেবারে সাদামাটা ফিল্টারের দিন আর নেই! সে এক সময় ছিল যখন মধ্যবিত্তর ঘরের এক কোণে সগৌরবে দেখা যেত এর উপস্থিতি। কল থেকে জল ধরে, তা ফুটিয়ে নিয়ে, ঠান্ডা করে ঢেলে দেওয়া হত গামলা ধরে ওই ফিল্টারের মধ্যে। ব্যস, নিশ্চিন্ত, এর কিছু সময় পরে কল খুললেই বিশুদ্ধ পানীয় জল হাতের মুঠোয়। এখন আর এত ঝামেলার মধ্যে দিয়ে কেউ যেতে চান না। ঘরে ঘরে তাই আরও প্রযুক্তিযুক্ত ওয়াটার পিউরিফায়ারের উপস্থিতি দেখা যায়। তবে, তার পরিস্রুত করা জল নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে বইকি! (Representative Image)
advertisement
উত্তর প্রদেশের বালিয়ার শ্রী মুরলী মনোহর টাউন স্নাতকোত্তর কলেজের বিজ্ঞান ও কৃষি রসায়ন বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক অশোক কুমার সিং Local18-কে এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পানীয় জল একটি খুব বড় সমস্যা। পানীয় জলের জন্য অনেক মানদণ্ড এবং বিভিন্ন প্যারামিটার যুক্ত রয়েছে। আজকাল গ্রীষ্মকাল, এই সময়ে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর লবণ বেরিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বার বার জল পান করার ইচ্ছা জাগে।’’ (Representative Image)
advertisement
সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠবে সেই প্যারামিটার নিয়ে। জলে নাইট্রেটের পরিমাণ ২৫ পিপিএমের কম এবং বোরনের পরিমাণ ০.৪ পিপিএমের কম হওয়া উচিত। জলে ধাতব দূষণের মাত্রাও খেয়াল রাখতে হয়। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল টিডিএস অর্থাৎ জলে লবণের পরিমাণ প্রতি লিটারে ১২৫ থেকে ২২৫ মিলিগ্রামের মধ্যে হওয়া উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি লিটারে টিডিএস-এর পরিমাণ ৩০০ মিলিগ্রামের কম হওয়া উচিত। (Representative Image)
advertisement
বর্তমান সময়ে এই সব প্যারামিটার খতিয়ে না দেখেই বাড়িতে ওয়াটার পিউরিফায়ার বসানো হয়। এই সব মেশিন জল ফিল্টার করে এবং ক্ষতিকারক অণুজীবও আলাদা করে ঠিকই, কিন্তু তার ফলে টিডিএস ১০০ মিলিগ্রামের কম হওয়ার কারণে শরীরে লবণের পরিমাণও কম পৌঁছয়। এই কারণেই ঘরে ঘরে আজকাল অলসতা, রক্তের ক্ষতি, পুষ্টি সংশ্লেষণের সমস্যা, হাড়ের সমস্যা, পেশির সমস্যা, হজমের সমস্যা এবং দুর্বলতা দেখা যায়। (Representative Image)
advertisement
তবে যাঁদের ঘরে ওয়াটার ফিউরিফায়ার নেই, তাঁরা যদি পরিষ্কার হ্যান্ড পাম্প বা কলের জল পান করেন যেখানে আয়রন, অ্যালুমিনিয়াম, আর্সেনিক এবং ক্লোরাইডের পরিমাণ কম থাকে, তাহলে কোনও সমস্যা হবে না। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জলের প্যারামিটার নির্ধারণকারী সিস্টেম বলে যে জলের টিডিএস ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত হলেও তা পান করার যোগ্য, এর জন্য আরও মেশিন ইনস্টল করার কোনও প্রয়োজন নেই। আর ইনস্টল করলে সব সময়ে মনে রাখতে হবে যে যদি জলে টিডিএস-এর মাত্রা ১০০ মিলিগ্রামের উপরে এবং ২৫০ মিলিগ্রামের নীচে হয়, তাহলেই কেবল তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং উপযুক্ত। (Representative Image)
advertisement
টিডিএস কীভাবে পরীক্ষা করা যাবে, সেটাও এই প্রসঙ্গে জেনে নেওয়া উচিত। একটু চওড়া, কলমের মতো দেখতে এক ডিভাইস আছে, যা বাজারে খুব কম দামে পাওয়া যায়। একে বলা হয় টিডিএস মিটার। আরও মেশিন যারা ইনস্টল করে, তাদের বেশিরভাগেরই মেকানিকরা পকেটে টিডিএস মিটার রাখেন, যা জলে লবণের মাত্রা পরিমাপ করে এবং সঙ্গে সঙ্গেই গ্রাহককে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। এবার অন্যের পরিমাপ সম্পর্কে যদি কোনও সন্দেহ থাকে, তাহলে একটা ছোট পকেট টিডিএস মিটার কিনে নিলেই হল, বড়জোর ৫০০ টাকা তার দাম পড়তে পারে! (Representative Image)