শুকনো নিম পাতা: ডালের জার থেকে পোকামাকড় তাড়াতে শুকনো নিম পাতার ব্যবহার বহু প্রাচীন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই টোটকা ব্যবহার হয়ে আসছে। এটা সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতিও। ডালের জারে একটা শুকনো নিমের ডাল রাখতে হয়। পাতা সমেত। এটা পোকামাকড়ের উপদ্রব রোধ করবে।
রসুন: পোকামাকড় দূরে রাখার আরেকটি দারুণ কৌশল হল ডালের জারে খোসা ছাড়ানো রসুন রাখা। একটা জারে ৪ থেকে ৫টি রসুন রাখতে হয়। সেগুলো শুকিয়ে গেলে বদলে ফেলতে হবে।
advertisement
লবঙ্গ: লবঙ্গ শুধু ডালের স্বাদ বাড়ায় তাই নয়, পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকেও রক্ষা করে। ডালের বয়াম বা জারে ৮ থেকে ১০টা লবঙ্গ রাখতে হবে শুধু। ব্যস, পোকামাকড় কাছে ঘেঁষতে পারবে না। ডালের জার যেন এয়ার টাইট হয় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: 'তালিকায় ৩৫০ নেতা', বিরাট ঘোষণা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের! তুমুল আলোড়ন
সূর্যালোক: এটাও প্রাচীন পদ্ধতি। পোকা দেখলে রোদে গামছা বা কাপড় পেতে ডাল ছড়িয়ে রাখতে হবে। কমপক্ষে ২ থেকে ৩ দিন সূর্যালোকে রাখলেই পোকামাকড়ের হাত থেকে মুক্তি মিলবে। পোকামাকড়গুলি অন্ধকার এবং শীতল জায়গায় বৃদ্ধি পায়, তাই সূর্যের নিচে ডাল রাখলে তারা পালায়। ডালে যদি পোকা নাও লাগে তবুও সপ্তাহে একবার সূর্যালোকে ডাল রাখা যায়।
শুকনো লঙ্কা: ডালের জারে শুকনো লঙ্কা পোকামাকড় প্রতিরোধের আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি। বয়ামে ২ থেকে ৩টি শুকনো লঙ্কা রাখলেই যথেষ্ট। পোকামাকড় ঘেঁষবে না।
আরও পড়ুন: 'একটা দুটো ঘটনা ঘটলেও আমরা দুঃখিত', হঠাৎ কেন দুঃখপ্রকাশ মমতার? তুঙ্গে জল্পনা
পোকামাকড় প্রতিরোধক: পোকামাকড় তাড়ানোর ট্যাবলেট আছে। যে কোনও মুদি দোকানেই কিনতে পাওয়া যায়। এই ট্যাবলেটগুলো দেখতে ওষুধের বড়ির মতো। এতে রাসায়নিক থাকে, যা পোকামাকড়কে দূরে রাখে। একটা জারে ২ থেকে ৩টি ট্যাবলেট রাখা যায়। তবে ডাল রান্না করার আগে ভাল করে গরম জলে ধুয়ে নিতে হবে।
ফ্রিজ: জায়গা থাকলে ফ্রিজেও ডাল রাখা যায়। এতে পোকামাকড় তো দূরে থাকবেই, ডালও দীর্ঘ সময়ের জন্য তাজা থাকবে। ফ্রিজে এয়ার টাইট পাত্র বা জিপলক প্যাকেটে ভরে ডাল রাখা যায়।