প্রোটিনের অভাব
প্রোটিন শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক কারণ এটি পেশি তৈরি, মেরামত করে এবং শক্তি দেয়। শরীরের জন্য এবং বিশেষত ওজন কমানোর জন্য প্রোটিনের এই সমস্ত সুবিধাগুলি বিবেচনা করে ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। ওজনের উপর নির্ভর করে, প্রোটিনের পরিমাণ ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পরিবর্তিত হয় তবে মহিলাদের জন্য ৪০ থেকে ৮০ গ্রামের মধ্যে পড়ে। ডায়েটে প্রোটিনের অভাব হলে ওজন কম করা কষ্টকর হয়ে যায়।
advertisement
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা
দিনে এক ঘন্টা ব্যায়াম করে এবং ঘাম ঝরানোর পর দিনের বাকি সময়টা বসে কাটালে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমাদের শরীরে লাইপেজ নামক একটি এনজাইম আছে যা চর্বি পোড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে শরীরে লাইপেজের সঠিক গঠনে বাধা দেয়। লাইপেজ উৎপাদন উন্নত করতে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকার মাঝখানে দুই থেকে তিন মিনিট হেঁটে আসতে হবে। নতুবা অনেক এক্সারসাইজ করলেও ওজন কমবে না।
নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে
এটি প্রায় অসম্ভব শোনাতে পারে তবে খুব নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। এক্সারসাইজ করার পরে, লোকেরা আরও বেশি খাওয়া-দাওয়া করে এটা ভেবে যে তারা ইতিমধ্যে বাড়তি ক্যালোরি ঝরিয়ে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া? থাকছে শীত নাকি আসছে বৃষ্টি?
স্ট্রেস
স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল বাড়িয়ে দেয়। কর্টিসল ক্ষুধাকে উদ্দীপিত করে এবং উল্টোপাল্টা খেতে অনুপ্রাণিত করে। ফলে স্ট্রেস হলে ওজন বাড়িয়ে দেয়।তাই চেষ্টা করতে হবে যে ভাবেই হোক স্ট্রেস বা মানসিক চাপ দূরে রাখার।
আর্দ্রতা
প্রতিদিন কি পর্যাপ্ত জল পান করা হচ্ছে? এই প্রশ্ন একবার করে দেখতেই হবে। যদিও সকলেই পানীয় জলের উপকারিতা এবং গুরুত্ব সম্পর্কে ভালভাবে অবগত আছি, তবুও সঠিক ডায়েট মেনেও অনেকে জল ঠিকঠাক পান করে না। ডিহাইড্রেশন কিডনির সঠিক কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করে এবং লিভারের সক্রিয়তা নষ্ট করে। যেহেতু লিভার প্রধানত চর্বি পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত তাই লিভার সক্রিয় না থাকলে ওজন কমে না।