এ কথা অস্বীকার করার জো নেই, সপ্তাহান্তের ভোজ থেকে শুরু করে উৎসবের পাত পড়া পর্যন্ত মাটনের পদ উদযাপনকে পরিপূর্ণ করে তোলে। মটন কষা যেমন বহু যুগ ধরে বাঙালির জমিয়ে খাওয়ার একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। বাংলার গ্রাম থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত সব জায়গার মানুষের কাছে মাটন একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার যা সকলের খুবই প্রিয়। এরই মধ্যে খাসি না ভেড়ার মাংস বেশি ভাল, সেই প্রশ্নটি প্রায়শই ওঠে। আসলে দুটোই তো রেড মিট, স্বাদেও প্রায় কাছাকাছি! গ্রামাঞ্চলে খাসির মাংসকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হলেও শহরাঞ্চলে ভেড়ার মাংসও সমান তালে জনপ্রিয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ যেমন দেখতে-তেমনই নাম! বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের নাম কে দিল জানেন? অদ্ভুত এই ইতিহাস শুনে চমকে উঠবেন
খাসির মাংসের স্বাদ কিছুটা আলাদা। খাসি সাধারণত ঘাস খায় এবং সব ধরনের গাছপালাও খায়। এই কারণে মাংসে চর্বি কম থাকে। চিকিৎসার দৃষ্টিকোণ থেকে খাসির মাংস শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়। অন্যদিকে, ভেড়ার মাংসের স্বাদ হালকা এবং মিষ্টি। তবে খাসির মাংসের তুলনায় এতে একটু বেশি চর্বি থাকে। যদিও শিশু এবং বয়স্কদের জন্য এটি হজম করা সহজ, আবার কিছু লোকের হজমের সমস্যা হতেও পারে। যদিও স্বাদের কারণে পার্টি এবং উৎসবে মাটন সবচেয়ে জনপ্রিয়।\
আরও পড়ুনঃ চাঁদের আলোয় ছুটবে ট্রেন! দার্জিলিং-হিমালয়ান রেলে ফিরছে মহারানির পালানোর গল্প, জানুন
পুষ্টির দিক থেকে দুটোতেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং আয়রন পাওয়া যায়। যদিও দুই মাংসেই স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় একাধিক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, তবে যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা খাসির মাংস বেছে নিতে পারে। কারণ এতে চর্বির পরিমাণ কম। যাঁরা ওজন বাড়াতে চান, তাঁরা ভেড়ার মাংস খেতে পারেন, কারণ এতে চর্বির পরিমাণ কিছুটা বেশি, যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তবে, বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন যে, যেটাই খাওয়া হোক না কেন, পরিমিত পরিমাণে খেলে তবেই পুষ্টি পাওয়া যেতে পারে এবং স্বাস্থ্য ঠিক রাখা যেতে পারে। না হলে কিন্তু স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যা হবেই।