এছাড়া আরেকটা ব্যাপারও তো আছে। দীপাবলিতে অনেকেই পায়ে মেহন্দির নকশা আঁকবেন, পরবেন নূপুরের সাজ। কিন্তু পা যদি ফাটা-ফাটা হয়, সেই সাজ কি আর মানাবে!
আরও পড়ুন: পরিচিত কেউ কাজ করেন? বিপুল কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে এই সংস্থা
পায়ের যত্নে অনেকেই পেডিকিওর করান। কিন্তু পায়ের আঙুল বেশিদিন পরিষ্কার থাকে না। বিশেষ করে শীতকালে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার পা এবং পায়ের আঙুল পরিষ্কার করা প্রয়োজন। এর জন্য সেলুনে যেতে হবে না। বাড়িতেই করা যায়। দেখে নেওয়া যাক সেই পদ্ধতি।
advertisement
এভাবে গরম জল ব্যবহার করতে হবে: শীতকালে ত্বক এমনিই শুষ্ক থাকে। এই সময় গরম জল ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। তাই গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখা চলবে না। বরং কাপড় বা তোয়ালে ডুবিয়ে তা দিয়ে পা পরিষ্কার করে নিতে হবে। নরম কাপড় থাকলে সবচেয়ে ভাল।
আরও পড়ুন: এবার এফডি-তে বিশেষ এই সুবিধা দিতে চলেছে PNB, কীভাবে আপনিও হবেন লাভবান জেনে নিন
ময়েশ্চারাইজিং খুব গুরুত্বপূর্ণ: গরম জল ব্যবহার না করলেও দিনে অন্তত ৩ বার পরিষ্কার জলে পা ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর লাগাতে হবে ময়েশ্চারাইজার। তবেই পা পরিষ্কার থাকবে। দেখাবেও সুন্দর। এ জন্য যে কোনও ভাল ব্র্যান্ডের বডি লোশন কিংবা ময়শ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করা যায়। তবে ঘরোয়া উপাদান দিয়ে বডি ময়েশ্চারাইজার তৈরি করতে পারলে সবচেয়ে ভাল।
শোয়ার আগে এটাও গুরুত্বপূর্ণ: পায়ের আঙুলের ত্বক খুবই সংবেদনশীল। এর যত্ন নেওয়াও জরুরি। এর জন্য প্রতি রাতে পা এবং আঙুলে তেল দিয়ে মাসাজ করতে হবে। তেল খুব তাড়াতাড়ি ত্বকে প্রবেশ করে। এবং ত্বক সঠিকভাবে ময়েশ্চারাইজ করে। তবে সরষের তেল নয়। পায়ের মাসাজের জন্য নারকেল তেল ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভাল।
মানতেই হবে: ধুলোময়লা সব থেকে বেশি লাগে পায়ে। তাই শীতকালে মোজা পরা সবচেয়ে ভাল। এতে ধুলোময়লার হাত থেকে রেহাই তো মিলবেই। শরীরও গরম থাকবে। তাছাড়া বাড়িতে বাসন মাজা, কাপড় কাচার মতো কাজও করতে হয়। হাত-পা ধোয়ার পর প্রতিবার ময়েশ্চারাইজার লাগাতেই হবে। তাহলেই ভাল থাকবে ত্বক।