অনেকেই জানেন, পেটে যা যাবে সেটাই ফুটে উঠবে ত্বকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর একটা হল সঠিক চা পান। সঙ্গে ফুলের নির্যাস। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্যি। স্কিন টি শরীরকে ডিটক্সিফাই করে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ত্বক এনে দেবে, কারণ চা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। সঙ্গে ফুলের ভেষজ গুণ দেবে ফুলের মতোই নরম ত্বক। স্বাস্থ্যের জন্য অনেকেই ব্ল্যাক টি, গ্রিন টি বা ফ্লোরাল টি পান করেন। এখানে দুসপ্তাহের মধ্যে ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে পারে এমন কয়েকটি চায়ের হদিশ দেওয়া হল। পুজোর তো আর এই কদিনই বাকি!
advertisement
হিবিসকাস গ্রিন টি: হিবিসকাস এবং গ্রিন টি হল সেরা বন্ধু যা ত্বকের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। জবা ফুলের পাপড়িতে অ্যান্টিএজিং বৈশিষ্ট রয়েছে। পাশাপাশি এটা শরীরের প্রাকৃতিক কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। অন্য দিকে গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেম্যাটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। ইজিসিজি, গ্রিন টি-তে উপস্থিত একটি ক্যাটেচিন, যা কোষগুলিকে পুনরায় সক্রিয় করার ক্ষমতা রাখে। ফলে ত্বক দেখায় কমবয়সিদের মতো।
আরও পড়ুন : রাঁধলেই হল না, থালিতে খাবার সাজানো ও খাওয়ার নিয়ম না মানলে সব অসম্পূর্ণ
কাশ্মীরি কাহওয়া: এটা তুষার আচ্ছাদিত কাশ্মীরের পাহাড় থেকে আসা একটি প্রাচীন চায়ের রেসিপি। এতে গ্রিন টি-র সঙ্গে কাশ্মীরি জাফরান এবং ওষধিগুণ সম্পন্ন মশলা মেশানো হয়। কাশ্মীরি কাহওয়ার প্রতিটি উপাদানে কোনও না কোনও স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তাই চাপ্রেমীদের এটা খুব প্রিয়। কাশ্মীরি কাহওয়াতে থাকা জাফরান ত্বককে নিরাময় করতে সাহায্য করে এবং কোষের উৎপাদন বাড়ায়। এই জাদু পানীয়ের এক কাপই ভিতর থেকে উজ্জ্বল ও সুন্দর ত্বক পেতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন : স্তনবৃন্তের কাছে ছোট ফুসকুড়ি বা বাম্প কি খুব চিন্তার, মহিলারা জেনে নিন এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মত
মেরিগোল্ড ব্ল্যাক টি: গাঁদা ফুলের নির্যাস মেশানো ব্ল্যাক টি শরীরের জ্বালা নিরাময় করে। এর অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ক্যালেন্ডুলা নির্যাস ব্যাপকভাবে প্রসাধনীতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু গাছ থেকে সরাসরি তুলে ব্যবহার করলে এর কার্যকারিতাই হবে অন্যরকম। অন্য দিকে ব্ল্যাক টি-তে রয়েছে পলিফেনল এবং ট্যানিন যা ত্বকের কোষ পুনরুজ্জীবনে সাহায্য করে এবং অকাল বার্ধক্যকে রুখে দেয়।