TRENDING:

বারবার ভুল হয়ে যায়? রং মেলে না? ফেস ফাউন্ডেশন কিনতে যাওয়ার আগে জানুন খুঁটিনাটি

Last Updated:

মেক-আপের ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ফাউন্ডেশন। এটিই ভিত্তি বলা চলে। সুতরাং এই ভিত্তি কী ভাবে স্থাপিত হবে, কী ভাবে প্রয়োগ করা হবে, তা বোঝা খুব জরুরি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
একটা সময় ছিল যখন বিয়েবাড়িতে এমন অনেক মানুষকে দেখা যেত, যাঁদের মুখে পাউডার মাখা নিয়ে খুব একচোট হাসাহাসির পর্ব চলত। সে সব দিন এখন অতীত। ত্বকের যত্নের পাশাপাশি মেক-আপ নিয়েও ইদানীং সচেতনতা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যেই মেক-আপ সচেতন তরুণীর সংখ্যা অনেকাংশে বেড়েছে। মেক-আপকে এখন আর কেউই প্রায় বাড়তি বোঝা হিসেবে দেখতে চান না। বরং, নিপুণ হাতে নিজের মেক-আপ সেরে ফেলতে চান সকলেই। সকলেই হতে চান ‘পিকচার পারফেক্ট’। আর সে জন্য মেক-আপ সমগ্রীর বিষয়ে সঠিক জ্ঞান থাকাও জরুরি।
advertisement

মেক-আপের ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ফাউন্ডেশন। এটিই ভিত্তি বলা চলে। সুতরাং এই ভিত্তি কী ভাবে স্থাপিত হবে, কী ভাবে প্রয়োগ করা হবে, তা বোঝা খুব জরুরি।

রঙ বাছাই—

ফাউন্ডেশনের একেবারে গোড়ার কথা হল ত্বকের আন্ডারটোন। কারণ এটি যে কোনও মেক-আপকে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার প্রথম ধাপ। আন্ডারটোন ত্বকের নিচ থেকে আসে। মূলত তিন প্রকার আন্ডারটোন হয় - ওয়ার্ম, নিউট্রাল এবং কুল। এই ভেদ অনুযায়ী বেছে নিতে হবে নিজের ফাউন্ডেশন।

advertisement

কী ভাবে জানা যাবে কার আন্ডারটোন কেমন! বিষয়টি পরীক্ষা করা বেশ সহজ। ভাল করে নিজের কবজির অংশ দেখলেই বোঝা যেতে পারে। কবজিতে যে শিরা রয়েছে, তার রঙই বলে দিতে পারে আন্ডারটোন ঠিক কেমন। যদি কারও শিরা বেগুনি বা নীল রঙের হয় তা হলে তিনি অবশ্যই কুল। কিন্তু যদি কারও শিরা সবুজ বা জলপাই রঙের হয় তবে তিনি ওয়ার্ম। আর যাঁদের ক্ষেত্রে কোনও রকম দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে শিরার রঙ নিয়ে তাঁরা বুঝে নেবেন তাঁদের আন্ডারটোন নিউট্রাল।

advertisement

এভাবে একবার নিজের ত্বকের রঙ এবং আন্ডারটোন জেনে ফেলতে পারলে অর্ধেক সমস্যার সমাধান করে ফেলা সম্ভব। কারণ এর সাহায্যে সহজেই উপযুক্ত ফাউন্ডেশন বেছে ফেলা সম্ভব হবে।

প্যাচ টেস্ট—

প্রথমবার ফাউন্ডেশন বেছে নেওয়ার জন্য অবশ্যই অনলাইন কেনাকাটা না করাই ভাল। কারণ অফলাইন স্টোরে টেস্টার পাওয়া যাবে। প্রাথমিক ভাবে নিজের ত্বকের রঙের সব থেকে কাছাকাছি তিনটি শেড বেছে নেওয়া যেতে পারে। এরপর ওই তিনটি শেড নিজের চোয়ালে খানিকটা লাগিয়ে দেখে নিতে হবে। তবে শুধু মুখের ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলেই চলবে না। গলা এবং ঘাড়ের কথাও মনে রাখতে হবে। যে ফাউন্ডেশনটি একেবারে ত্বকের রঙের সঙ্গে মিশে যাবে সেটিই কেনা ভাল।

advertisement

আরও পড়ুন: শীতে শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পেতে চান? নামী-দামি ব্র্যান্ডকেও হার মানাবে এই ৬ ঘরোয়া বডি লোশন

ফিনিশ নিয়ে ভাবনা—

ম্যাট না কি ডিউই? এটা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করার সময় এসেছে। আবার সেই পুরনো দিনের কথা ভেবে দেখা যেতে পারে। সে সময় বেশ সাদাটে ফটফট মেক-আপের চলন ছিল। বিস্তর কম্প্যাক্ট পাউডারও মাখার রীতি ছিল। সে সব কায়দা এখন ভেঙে গিয়েছে। বরং হালকা ভেজা ভেজা মেক-আপ করা নরম মুখের দিকে ঝুঁকে আছেন সকলে।

advertisement

কিন্তু সমস্যা সেখানেও রয়েছে। ভারতীয়দের ত্বকেও বৈচিত্র্য রয়েছে। কারও ত্বক খুব শুষ্ক, তো কারও আবার ভীষণ তেলতেলে। ফলে ত্বকের ধরন বুঝে মেক-আপ কেনা দরকার।

শুষ্ক ত্বকে সব সময়ই ডিউই মেক-আপ ফাউন্ডেশন নেওয়া প্রয়োজন। তাতে খানিকটা আর্দ্রতা পাওয়া যায়, যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখে। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে ম্যাট মেক-আপের কথা ভাবা যেতে পারে। তবে ঋতুর কথাও মাথায় রাখা প্রয়োজন। শীতকালে কোনভাবেই ম্যাট বেছে নেওয়া উচিত নয়।

আরও পড়ুন: ওয়াক্সিংয়ের সঙ্গে মদ্যপানের সম্পর্ক কী? শীতে রোম তুলে ফেলা উচিত? জানুন সঠিক উপায়

কভারেজ—

বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কভারেজের বিষয়টি বেছে নিতে হবে। লাইট, মিডিয়াম না ফুল— কেমন কভারেজ চাইছেন তা বেছে নিতে হবে গ্রাহককেই। যদি কেউ ত্বকের নিজস্ব রঙকে সহজ ভাবে ফুটিয়ে তুলতে চান তবে লাইট কভারেজ বেছে নেওয়াই ভাল। এটি স্বাভাবিক ত্বকের মতোই দেখতে লাগে।

তবে যদি কেউ মুখের সমস্ত দাগ ছোপ বা হাইপারপিগমেন্টেশন সম্পূর্ণ ভাবে ঢেকে ফেলতে পছন্দ করেন, তা হলে ফুল কভারেজ ফাউন্ডেশন বেছে নিতে হবে।

অক্সিডাইজ থেকে বাঁচতে—

আমরা অনেকেই জানি না, ফাউন্ডেশন লাগানোর কিছুক্ষণ পরেই তা অক্সিডাইজ করতে পারে। ত্বকের উষ্ণতার কারণে কয়েক মিনিট পরে অনেক সময়ই রঙ বদলে ফেলতে পারে।

সুতরাং ফাউন্ডেশন কেনার সময় তা পরীক্ষা করার পরেই কিনে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। বরং ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করা দরকার, যাতে বোঝা যায় এটি কতটা গাঢ় হচ্ছে।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
বারবার ভুল হয়ে যায়? রং মেলে না? ফেস ফাউন্ডেশন কিনতে যাওয়ার আগে জানুন খুঁটিনাটি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল