দুবাইয়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ ডাঃ জাভেরিয়া আতিফ বলেন যে মহিলারা প্রায়শই মুখের লোম দূর করার জন্য ফেসিয়াল হেয়ার ক্রিম ব্যবহার করেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন যে দীর্ঘ সময় ধরে এই ক্রিম ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। এগুলি ত্বকে পিগমেন্টেশন, কালো দাগ এবং অ্যালার্জির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। অর্থাৎ, একটি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করার সময়, আপনি অন্যান্য গুরুতর ত্বকের সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে।
advertisement
মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য মহিলারা প্রায়শই থ্রেডিং ব্যবহার করেন। এই পদ্ধতিটি সহজ এবং সাশ্রয়ী। কিন্তু ডাক্তারদের মতে, থ্রেডিং মুখে ছোট ছোট দাগ এবং লালচে ভাব সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে যাদের ত্বক সংবেদনশীল তাদের থ্রেডিংয়ের পরে জ্বালা এবং চুলকানির সম্মুখীন হতে পারে। তাই, বারবার থ্রেডিং করা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল বিকল্প নয়। মুখের লোম দূর করার জন্য ওয়াক্সিংও একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। তবে এটি মুখের সূক্ষ্ম ত্বকের জন্য সবসময় সঠিক বলে বিবেচিত হয় না। ওয়াক্সিং ত্বকের উপরের স্তরের ক্ষতি করতে পারে, যার কারণে ত্বক শুষ্ক এবং নিস্তেজ দেখাতে শুরু করে। এছাড়াও, দীর্ঘ সময় ধরে ওয়াক্সিং করলে ত্বক আলগা হয়ে যেতে পারে। তাই, যদি আপনি এটি চেষ্টা করেন, তাহলে খুব ভেবেচিন্তে এবং একজন পেশাদারের সাহায্যে এটি করুন।
ডাঃ জাভেরিয়ার মতে, যদি আপনি দীর্ঘ সময় ধরে মুখের লোম থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে রেজার এবং লেজার উভয়ই সেরা বিকল্প। রেজার ব্যবহার করে ঘরে বসে সহজেই চুল অপসারণ করা যায়। এটি সম্পূর্ণ ব্যথাহীন পদ্ধতি এবং সঠিকভাবে করলে ত্বকের ক্ষতি করে না। অন্যদিকে, লেজার চিকিৎসা হল সবচেয়ে কার্যকর এবং দীর্ঘস্থায়ী বিকল্প। এটি কেবল চুলের বৃদ্ধি কমায় না বরং সময়ের সাথে সাথে প্রায় তা দূর করে দেয়।
যদিও লেজার একটু ব্যয়বহুল, তবুও এটি দীর্ঘমেয়াদে সবচেয়ে নিরাপদ এবং ফলাফল-ভিত্তিক বিকল্প হিসাবে প্রমাণিত হতে পারে। অতএব, যদি আপনি মুখের অকাল লোম বৃদ্ধির সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে আপনার তাড়াহুড়ো করে কোনও পদ্ধতি বেছে নেওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখের লোমের ক্রিম থেকে দূরে থাকুন, থ্রেডিং এবং ওয়াক্সিং সীমিত করুন এবং যদি আপনি স্থায়ী সমাধান চান, তাহলে রেজার বা লেজার বেছে নিন। সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে, আপনি কেবল আপনার ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন না বরং মুখের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এবং স্বাস্থ্যকর গঠনও বজায় রাখতে পারবেন।