ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার:
আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটলে কখনও কখনও আমাদের চুল (বিশেষ করে চুলের শেষ ভাগ) ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। যার ফলে চুল রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে। আবার গরমের দিনে ক্লোরিন জলে স্নান করলেও চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাই ডগা ফাটা চুলের শেষের দিকের শুষ্ক অংশ কেটে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে রুক্ষতার হাত থেকে মুক্তি পেতে ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। স্ক্যাল্প এবং চুলের দৈর্ঘ্যে পুষ্টি জোগাবে, এমন ভাবেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তৈলাক্ত স্ক্যাল্পের ক্ষেত্রে অয়েলিং ট্রিটমেন্টের পরিবর্তে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।
advertisement
তৈলাক্ত স্ক্যাল্পের ক্ষেত্রে:
চুলের যত্নে সব সময় সালফেটমুক্ত চুলের প্রোডাক্টই ব্যবহার করা উচিত। কারণ গরমের দিনে অনেক সময়ই চুল ও স্ক্যাল্প তৈলাক্ত হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ভালো সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু তেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং স্ক্যাল্পের পিএইচ মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি মরসুমী অ্যালার্জিও প্রতিরোধ করবে এই ধরনের শ্যাম্পু।
হিট স্টাইলিং প্রোডাক্টে রাশ:
গরম কালে তাপমাত্রা এমনিতেই বেড়ে যায়। তার উপর চুলে হিট স্টাইলিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে তা চুলের জন্য আরও ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। আসলে গ্রীষ্মে হিট স্টাইলিং প্রোডাক্টের ব্যবহার চুলকে আরও বেশি রুক্ষ এবং শুষ্ক করে তোলে। তাই এই ধরনের উপাদান চুলের জন্য না-ব্যবহার করাই ভালো। শুধু তা-ই নয়, বাইরে বেরোনোর সময় চুল বেঁধে রাখতে পারলে ভালো হয়।
চুল ঝরার সমস্যা রুখতে:
ঋতু পরিবর্তনের জেরে স্ক্যাল্পে ফ্লেকস্ হতে পারে। এক্ষেত্রে স্ক্যাল্পের রুক্ষ-শুষ্ক মৃত চামড়া উঠে আসতে থাকে। আর এটাই অতিরিক্ত চুল ঝরার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই মাথার ত্বকের যে কোনও রকম অ্যালার্জি দূর করার জন্য একটি ট্রিটমেন্ট করানো খুবই জরুরি। তাছাড়া রোদে পোড়ার জ্বালা অথবা চুলকানির হাত থেকে রেহাই পেতে স্ক্যাল্পে অ্যালোভেরা জেল লাগানো যেতে পারে এবং একটি মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে তা ধুয়ে ফেললে ভালো ফল পাওয়া যাবে।