৩০ বছর ধরে জিয়াগঞ্জ থানার মালখানায় পড়ে থাকার পর মন্দিরের অছিপরিষদের তৎপরতাতেই আবার নবনির্মিত মন্দিরে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা হয় কয়েক বছর আগে মূর্তিটি। তবে কেবল মাত্র ঐতিহ্য মণ্ডিত রাজরাজেশ্বরীর পুজো বহু বছরের প্রাচীন।
আরও পড়ুনToday Solar Eclipse: আজ ৬ ঘণ্টা ৪ মিনিট স্থায়ী হবে সূর্যগ্রহণ, সময় মেনে গ্রহণ শেষে কী করবেন জানুন
advertisement
কয়েকশো বছর আগে বড়নগর ছিল অবিভক্ত বাংলার অন্যতম বানিজ্যকেন্দ্র ও পর্যটনস্থল। পুজো ও মেলাকে ঘিরে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের মৃত প্রায় পর্যটন শিল্পের উন্নতি ও প্রসার ঘটানোও আর একটি উদ্দেশ্য। ইতি মধ্যেই দেশের সেরা পর্যটন গ্রাম তকমা পেয়েছে বড়নগর গ্রাম। দুর্গাপুজোর ছুটিতে মুর্শিদাবাদ জেলাতে ঘুরতে গেলেই একদিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন এই ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত মন্দিরে। পুজোর তিনদিন নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো চলবে। পাশাপাশি, ভোগের ব্যবস্থা থাকবে বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনNorth Bengal: সকাল থেকে জমজমাট তিস্তার পাড়, তর্পণের সঙ্গেই চলল দেদার সেলফি তোলা!
কথিত আছে, বছর তিরিশেক আগে রানি ভবানীর বড়নগরের বাড়ি লাগোয়া প্রায় পরিত্যক্ত মন্দির থেকে চুরি হয়ে যায় পিতলের তৈরি রাজরাজেশ্বরী মূর্তি। কিছু দিন পর পুলিশ মূর্তিটি উদ্ধার করলেও পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশের কাছ থেকে তখন ওই মূর্তি কেউ ফেরত নেননি। মন্দিরের দশা ক্রমে আরও খারাপ হয়। রানি ভবানীর বর্তমান বংশধর অশীতিপর বৃদ্ধা শুভশ্রী বাগচীর দান করা ৬ লক্ষ টাকায় কয়েক বছর আগে মন্দির সংস্কার করা হয়। আর সেই থেকেই আজও চলে আসছে এই মন্দিরে পুজো। নিত্যদিন চলে সেবা ঠিক তেমনই ভোগের ব্যবস্থা করা হয়। ভোগ খেতে পারেন চাইলেই ভক্তরা।
কৌশিক অধিকারী